ভোট বড় বালাই। তাই লোকসভা নির্বাচনের(Loksabha Election) আগে মুসলিম(Muslim) বিরোধী ভাবমূর্তি ঝেড়ে ফেলে সংখ্যালঘু দরদী রূপে অবতীর্ণ হয়েছে বিজেপি(BJP)। মুখে যতই সবকা সাথ, সবকা বিকাশ বলুক, কার্যক্ষেত্রে দল ও সরকার সবেতেই মুসলিমদের ব্রাত্য রাখার পর লোকসভা ভোটের আগে ছবিটা পাল্টে ফেলতে উদ্যোগ নিল গেরুয়া শিবির। এবার মুসলিম ভোটের দিকে নজর রেখে বিজেপির বড় পদে আনা হল এক সংখ্যালঘু মুখকে। শনিবার বিজেপির কেন্দ্রীয় পদাধিকারীদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে দেখা গেল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের(AMU) প্রাক্তন উপাচার্য তারিক মনসুরকে(Tarik Mansur)।
জাতীয় নাগরিক পঞ্জি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। সেই বিক্ষোভের আঁচ পড়েছিল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়েও। সেই সময় পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রেখেছিলেন তারিক মনসুর। তিনি RSS-এর সঙ্গেও কাজ করেছেন। পসমন্দা মুসলিমদের কাছে মুঘল যুবরাজ দারা-শুকোর হিন্দু-মুসলিম সহাবস্থান নীতিপাঠ দিয়েছিলেন সঙ্ঘের প্রতিনিধি হিসেবে। ফলে সেই থেকেই গেরুয়া শিবিরের ব্লু-আইড ছিলেন এই সংখ্যালঘু নেতা। এবার তাঁকে সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদে বসিয়ে মুসলিম ভোট টানার চেষ্টায় কোমর বেঁধে নেমে পড়ল বিজেপি। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে সব মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের পছন্দ করেন, তাঁদের তালিকায় অগ্রণী এই ব্যক্তি। সম্ভবত সেকারণেই তাঁকে দলের কেন্দ্রীয় পদাধিকারীদের মধ্যে আনা হল।
উল্লেখ্য, তারিক মনসুর উত্তর প্রদেশের আলিগড়েরই বাসিন্দা। সেখানে মুসলিম ভোটার ১৯ শতাংশ। সংখ্যালঘুদের মধ্যে উপেক্ষিত পসমন্দা মুসলিম সমাজের প্রতিনিধি তিনি। আর বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে এই পসমন্দাদের মন জয়ের চেষ্টা করছে। ২০২২ উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে কমবেশি সাফল্যও পেয়েছে। লোকসভায় সেই সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে অন্তত ৩০টি আসনের মধ্যে ১৫ থেকে ২০টিতে এই পসমন্দাদের ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের সমর্থন হারজিত নির্ধারণ করতে পারে। ফলে পসমন্দাদের সমর্থন পেতে তারিক মনসুরকেই প্রচারের মুখ করতে চাইছে পদ্ম শিবির।