সুপ্রিম নির্দেশিকাকে ডোন্ট কেয়ার! কুনো জাতীয় উদ্যানে ফের মৃ.ত্যু চিতার

গত জুলাই মাসেই মৃত্যু হয়েছিল দুটি চিতার। ফের অগাস্ট মাসের একেবারে শুরুতেই আরও একটি আফ্রিকান চিতার মৃত্যু হল। গত ফেব্রুয়ারি মাসে কুনো জাতীয় উদ্যানে ১২টি চিতা আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার।

আগেই উদ্বেগপ্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। কেন্দ্রীয় সরকারকে (Central Government) প্রেস্টিজ ইস্যু না বানিয়ে যথাযথ পদক্ষেপের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালতের তরফে। এবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। ফের মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে (Kuno National Park) মৃত্যু হল এক চিতার (Cheetah)। রাজ্যের বন দফতর সূত্রে এমন খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। যদিও ঠিক কী কারণে ওই চিতার মৃত্যু হল তা এখনও জানা যায়নি। এখনও পর্যন্ত কুনোয় শাবক এবং পূর্ণবয়স্ক মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৯টি চিতার মৃত্যু হল। বুধবার সকালে মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে একটি মহিলা চিতা ‘ধাত্রী’কে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

গত জুলাই মাসেই মৃত্যু হয়েছিল দুটি চিতার। ফের অগাস্ট মাসের একেবারে শুরুতেই আরও একটি আফ্রিকান চিতার মৃত্যু হল। গত ফেব্রুয়ারি মাসে কুনো জাতীয় উদ্যানে ১২টি চিতা আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। তারও আগে ২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জন্মদিন উপলক্ষে নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা আনা হয়েছিল কুনোতে। পরে কয়েকটি চিতার শাবকও জন্মায়। সব মিলিয়ে ২৪টি চিতা ছিল কুনো ন্যাশনাল পার্কে। কিন্তু দেশে আনার পর থেকেই মৃত্যু হচ্ছিল একের পর এক চিতার। বুধবার পর্যন্ত মোট ৯টি চিতার মৃত্যু হল।

যাদের অধীনে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নামিবিয়ার চিতা আনা হয়েছিল সেই জাতীয় চিতা প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটির দুই আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ সদস্য, গোটা বিষয়টিতে তাদের অন্ধকারে রাখা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টে চিঠি লিখে প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা নিয়ে “গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।” দুই বিশেষজ্ঞ, দক্ষিণ আফ্রিকার বন্যপ্রাণী পশুচিকিৎসক ডঃ অ্যান্ডি ফ্রেজার এবং ডাঃ মাইক টফট চিঠিতে লিখেছেন,কিছু চিতার মৃত্যু “প্রাণীদের ভাল পর্যবেক্ষণ এবং আরও উপযুক্ত” এবং সময়মত “পশুচিকিৎসা যত্ন” দ্বারা প্রতিরোধ করা যেত।” তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “যদি বিশেষজ্ঞদের অবহেলা এবং শুধুমাত্র স্টিয়ারিং কমিটির শোভাবর্ধনের জন্য ব্যবহার না করে কাজে লাগানো হতো তবে পরিস্থিতি এতটা খারাপ হতোনা।” সুপ্রিম কোর্টকে লেখা এই দুই বিশেষজ্ঞের চিঠি ছাড়াও, গত ১৫ জুলাই, রেডিও কলার আঘাতের কারণে আফ্রিকান পুরুষ চিতা তেজস এবং সুরাজের মৃত্যুর কয়েকদিন পর, দক্ষিণ আফ্রিকার পশুচিকিৎসা ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ডক্টর অ্যাড্রিয়ান টর্ডিফ তার সহকর্মীদের পক্ষে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন।

চিঠিতে অন্য স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে আছেন চিতা বিশেষজ্ঞ ভিনসেন্ট ভ্যান ডার মারওয়ে, বন্যপ্রাণী পশুচিকিত্সক ডঃ অ্যান্ডি ফ্রেজার এবং ডাঃ মাইক টফট।একই সময়ে, নামিবিয়ার চিতা সংরক্ষণ তহবিলের নির্বাহী পরিচালক ডক্টর লরি মার্কার সুপ্রিম কোর্টে আরেকটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন, যাতে টর্ডিফের চিঠির মতোই চিতা সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনায় চরম গাফিলতির কথা উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। চিঠিতে তিনি কী চেয়েছিলেন জানতে চাওয়া হলে, মার্কার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন: “বিশেষজ্ঞদের সাথে আরও ভাল যোগাযোগ, বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস করতে হবে, আরও ভাল পর্যবেক্ষণ (পর্যবেক্ষণ) এবং বিশেষজ্ঞদের সাথে নিয়মিত রিপোর্ট শেয়ার করতে হবে।” একই সময়ে, নামিবিয়ার চিতা সংরক্ষণ তহবিলের নির্বাহী পরিচালক ডক্টর লরি মার্কার সুপ্রিম কোর্টে আরেকটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন, যাতে টর্ডিফের চিঠির মতোই চিতা সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনায় চরম গাফিলতির কথা উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।

 

 

Previous article‘এক্তিয়ারের বাইরে কাজ করছেন রাজ্যপাল’: নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তো.প মুখ্যমন্ত্রীর  
Next articleকিছুটা উন্নতি কিন্তু বিপন্মুক্ত নন, আম খাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন বুদ্ধদেব