এবার পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) বেশ কয়েকটি জায়গায় বিজেপি সহ বিরোধীরা বেলাগাম সন্ত্রাস চালিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম। অভিযোগ, এই নন্দীগ্রামে বিরোধী দলনেতা তথা দলবদলু বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) প্রচ্ছন্ন মদতে ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীরা। এবার তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হল আর্থিক সাহায্য। আজ, শুক্রবার পাঁচজন তৃণমূল কর্মী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যের হাতে তুলে দেওয়া হল চেক। কর্মীদের চিকিৎসা এবং ঘর মেরামতির জন্যই এই আর্থিক সাহায্য।

এদিন চেক প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি জানান, শুক্রবার পাঁচজনকে মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো চেক দেওয়া হল। নন্দীগ্রাম ব্লক অফিসে এই চেক প্রদান করা হয়। স্থানীয় বিডিও এই চেক আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যের হাতে তুলে দেন। বিষয়টি নিয়ে বিজেপিকে তোপ দাগতে ছাড়েননি কুণাল। তাঁর কথায়, “নন্দীগ্রামে ১০,৪৫৭ ভোটে পিছিয়ে থাকার আক্রোশে বিজেপির গুন্ডাদের হামলায় আহত তৃণমূল কর্মী। তাঁদের চিকিৎসা ও ঘর মেরামতির সাহায্যে চেক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসকেএমে। বাকিদের হাতে আজকে চেক তুলে দেওয়া হল।”
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর নন্দীগ্রাম ভোট পরবর্তী হিংসায় একাধিক তৃণমূল কর্মী আক্রান্ত হন বলে শাসক দলের তরফে অভিযোগ ছিল। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা নন্দীগ্রাম ২-এর বয়ালে একাধিক তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে তাণ্ডব চালায়। মারধর করে। ভেকুটিয়া, সোনাচূড়া, আমদাবাদ ও গোকুলনগর সহ একাধিক অঞ্চলে একাধিক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে হামলা হয়। নন্দীগ্রাম -১ ব্লকের ভেকুটিয়ায় তৃণমূলের মহিলা নেত্রী সোনারানী হাজরাকে গাছে বেঁধে বর্বরোচিত ভাবে মারধর করা হয়। ভোট পরবর্তী হিংসায় প্রায় ২৭ জন তৃণমূল কর্মী গুরুতর জখম হয়। এর মধ্যে ১৪ জন তৃণমূল কর্মীকে কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। আহত তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও দেখা করেছিলেন। সবরকম ভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন। আগেই হাসপাতালে একাধিক তৃণমূল কর্মীর পরিবারের সদস্যের হাতে আর্থিক সাহায্যের চেক তুলে দেওয়া হয়েছিল।
