ব্যর্থতার দায় নিচুতলার ঘাড়ে চাপিয়েই রদবদল, বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ

সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে(Pancahyet Electon) চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে গেরুয়া শিবির। আর এই ব্যর্থতার দায় নিচুতলার কর্মীদের ঘাড়ে চাপিয়ে জেলা সভাপতির(District Pesident) পাশাপাশি মণ্ডল সভাপতিতেও ব্যাপক রদবদল হয়েছে। পঞ্চায়েতে ব্যর্থতার দায় নিচুতলায় চাপিয়ে এই রদবদল দলের অন্দরে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। বঙ্গ বিজেপির(BJP) অনুমান দলের শীর্ষ নেতৃত্বের এহেন সিদ্ধান্তের জেরে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের(Loksava Election) আগে নিচুতলার বড় অংশের কর্মীরা নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারেন। ফলে এই সিদ্ধান্ত বুমেরাং হওয়ার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন রাজ্য নেতারা। ফলস্বরুপ নিচুতলার ক্ষোভ প্রশমনে রাজ্য নেতাদের হস্তক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে।

বিজেপির অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, নিচুতলার কর্মীদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করে একতরফা ভাবে সব সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাতেই ক্ষোভ ব্যাপক বেড়েছে কর্মীদের। জেলায় জেলায় গোষ্ঠীও কোন্দল চরম আকার নিয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, বিক্ষোভের আঁচ কলকাতায় বঙ্গ বিজেপির রাজ‌্যদপ্তর পর্যন্ত চলে আসতে পারে। ইতিমধ্যেই জেলা পার্টি অফিসগুলিতে পদ থেকে সরানো মণ্ডল সভাপতি ও তাঁর অনুগামীদের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। লোকসভার আগে এই ঘটনায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতারাও। যারা বাদ পড়েছেন তাদের ক্ষোভ চরম আকার নিয়েছে, হুগলি জেলায় ২৩টি মণ্ডলের সভাপতি বদলের পর ক্ষুব্ধ জেলার নিচুতলার কর্মীরা। বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলায় ৯ জন মণ্ডল সভাপতি বদলের পরই গোষ্ঠীকোন্দল চরমে উঠেছে। হাওড়া গ্রামীণ জেলায় ১৬ জন মণ্ডল সভাপতিকে বদল করা হয়েছে। যেসব জায়গায় এই ব্যাপক রদবদল হয়েছে, সব জায়গাতেই জেলা কার্যালয়ে বিক্ষোভের ছবি উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে ১০ আগস্টের মধ্যে মণ্ডল কমিটির সম্মেলন আদৌ করা সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দানা বেঁধেছে।

লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই হচ্ছে সাংগঠনিক রদবদল। আর ১৩০০-র মতো মণ্ডল কমিটির মধ্যে আড়াইশোর বেশি মণ্ডল সভাপতি বদল করা হবে। সেই প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু বিক্ষোভ যেভাবে চরমে উঠেছে তাতে লোকসভা নির্বাচনের আগে নতুন করে ভাবাচ্ছে রাজ‌্য নেতাদের। পঞ্চায়েত ভোটে ভাল ফল না হওয়ার দায় কেন নিচুতলার উপর চাপানো হচ্ছে, প্রশ্ন উঠেছে গেরুয়া শিবিরে। তাদের প্রশ্ন, কেন রাজ‌্য নেতারা দায় নেবেন না? যদি মণ্ডল সভাপতিদের উপর সব দায় চাপিয়ে তাদের ছেঁটে ফেলা হয় পদ থেকে তাহলে নিচুতলায় দলের বড় অংশই নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে সামনেই লোকসভা নির্বাচন, তার আগে নিচুতলায় এই ছাঁটাইয়ের ঘটনায় বাড়তে থাকা ক্ষোভ অশনি সঙ্কেত হয়ে উঠেছে পদ্ম শিবিরের কাছে।

Previous articleগর্ভস্থ মৃ.ত ভ্রূ.ণকে সুস্থ দাবি চিকিৎসকের! আলট্রাসোনগ্রাফি করতেই প্রকাশ্যে ভ.য়ঙ্কর ছবি
Next articleবিশ্ব আদিবাসী দিবস: মঙ্গলবারই ঝাড়গ্রাম যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী