শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বাঁকুড়ার পর এবার কোচবিহারের একাধিক শিক্ষক সিবিআইয়ের স্ক্যানারে।এখনও পর্যন্ত ৩০ জন শিক্ষককে তলব করেছে সিবিআই।প্রত্যেকেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসাবে কর্মরত। বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে ৩০ জন শিক্ষককে।জানা গিয়েছে, প্রত্যেকেই ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ।প্রত্যেকের সার্টিফিকেট, অ্যাডমিট কার্ড নথি আনতে বলেছে সিবিআই
আসলে সিবিআই জানতে চাইছে যে কীভাবে চাকরি পেলেন এই ৩০ জন শিক্ষক? সোমবার আদালতের নির্দেশে চারজন শিক্ষককে গ্রেফতারের পর প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠানো হয়।তারপর বাঁকুড়া জেলা থেকে ৭ জন প্রাথমিক শিক্ষককে গতকাল তলব করেছিল সিবিআই। এবার ডাক পড়েছে কোচবিহার জেলার ৩০ জন শিক্ষকের। ইতিমধ্যেই কোচবিহার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় কাউন্সিলকে পুরো বিষয়টি সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে।
এদের যাবতীয় নথি ডকুমেন্টস নিয়ে নিজাম প্যালেসে বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটায় হাজিরার জন্য নির্দেশ রয়েছে। বুধবার বাঁকুড়ার সাত জন শিক্ষক নথি নিয়ে নিজাম প্যালেসে হাজির হন। সিবিআই সূত্রে খবর, এই শিক্ষকদের নথি খতিয়ে দেখা হয়। ওই শিক্ষকদের থেকে অ্যাডমিট কার্ড, রেজাল্ট, ২০১৪-র টেটের নথি, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক রেজাল্ট নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। সব তথ্য খতিয়ে দেখে সিবিআই।
এতদিন ধরে সিবিআই সাক্ষী হিসাবে বয়ান রেকর্ড করত যে সব শিক্ষক টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন ও চাকরিপ্রার্থীদের। কিন্তু এবার বাঁকুড়ার পড় কোচবিহারের ৩০ শিক্ষককে তলব নিজামে। সিবিআইয়ের তলবের পর এঁদের ভবিষ্যত এখন কোন দিকে যায় সেটাই দেখার।আরও একটা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, আর তা হল এই ৩০ শিক্ষকও কি হেনস্তার দায় পর্ষদের ঘাড়ে চাপাবেন।