বেসরকারি হাসপাতালে ঋণ প্রধানকারী সংস্থার অফিস বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্য কমিশনের

0
2

বেসরকারি হাসপাতালের(Private Hospital) মধ্যেই গড়ে উঠেছে ঋণদান সংস্থা। এই সংস্থার কাজ মূলত রোগী পরিবার চিকিৎসার খরচ মেটাতে না পারলে ঋণ নিয়ে টাকা মেটানোর পথ বাতলে দেওয়া। এর জেরেই ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ছেন রোগীর বাড়ির লোকজন। বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে এই ধরণের কোনও ঋণ(Lone) প্রদানকারি সংস্থার অফিস রাখা যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিল স্বাস্থ্য কমিশন(Helth Commission)। বৃহস্পতিবার জরুরি ভিত্তিতে কমিশনের সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন চেয়ারপার্সন অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়(Asim Kumar Banerjee)। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে পুলিশ নজর রাখবে কোথাও কোনও ঋণ প্রদানকারী সংস্থার অফিস হাসপাতালে আছে কি না।

রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন সূত্রে খবর, সম্প্রতি এমনই এক সংস্থার থেকে ঋণ নিয়ে হাসপাতালের বিল মিটিয়ে বাড়ি ফিরেছিল এক পরিবার। অভিযোগ টাকা মেটানোর পরেও রোগীর পরিবারকে হাসপাতালের বিল মিটিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে রাত দেড়টায় বাড়িতে যায় পুলিশ! গুরুতর এই অভিযোগ উঠেছে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। বুধবার সেই মামলার প্রথম শুনানি ছিল। সেখানেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়। অভিযুক্ত বেসরকারি হাসপাতালকে একদিনের মধ্যে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার অফিস বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন। বন্ধ না হলে দেওয়া হয়েছে গুরুতর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি বৃহস্পতিবার জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য কমিশনের সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন চেয়ারপার্সন অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে নির্দেশ দেওয়া হয় বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে এমন কোনও ঋণ দেওয়া সংস্থা থাকলে তাদের অফিস বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। এছাড়াও অভিযুক্ত হাসপাতালকে অবিলম্বে রোগীর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির মীমাংসা করতে বলা হয়েছে।