জে.লে কাপ্তান! পার্লামেন্ট ভেঙে পাকিস্তানে শুরু নির্বাচনের তোড়জোড়

আগেই পাকিস্তানের পার্লামেন্ট (Pakistan Parliament) ভাঙার সুপারিশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Prime Minister Shahbaz Sharrif)। আর সেই পথে হেঁটেই এবার পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভাঙলেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। ফলে পড়শি দেশে তৈরি হল সাধারণ নির্বাচনের মঞ্চ। পাকিস্তানে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। ইতিমধ্যেই তোষাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে গিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। ফলে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ইমরানকে ভোটে লড়াইয়ে অযোগ্য ঘোষণা করেছে সে দেশের নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এমন আবহে পাকিস্তানে বাজল ভোটের দামামা।

পাকিস্তানের নিয়ম অনুযায়ী, দ্রুত একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হবে। আর সেই সরকারের অধীনেই হবে নির্বাচন। এদিকে নতুন অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের জন্য বিদায়ী সরকারকে তিন দিন সময় দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার কথাও বলেছেন তিনি। যদিও শাহবাজ সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া নিয়ে উল্টোপথেই হাঁটছেন। ২০১৮ সালে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গড়েছিল ইমরানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। বর্তমানে তিনি জেলবন্দী। আর এমন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে তড়িঘড়ি পার্লামেন্ট ভাঙলেন শাহবাজ।

ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, বর্তমানে আর্থিক সঙ্কট ও রাজনৈতিক অস্থিরতার দোহাই দিয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। প্রশাসনের দাবি, বর্তমানে আর্থিক সঙ্কটের জেরে ধুঁকছে দেশের অর্থনীতি। এই অবস্থায় নির্বাচন করলে দেশে হিংসা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। আর সেই আশঙ্কা থেকেই আগামী বছর নির্বাচন করার পক্ষে সওয়াল করছে শাহবাজ সরকার। তবে শাহবাজ বিরোধী শিবিরের দাবি, আরও বেশিদিন ক্ষমতায় থাকার জন্যই নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরেই মস্কো যান ইমরান। আর সেখানে গিয়েই আমেরিকাকে রীতিমতো হুমকি দেন তিনি। তবে তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রীর এহেন আচরণকে মোটেই ভালো চোখে দেখেনি মার্কিন প্রশাসন। আর সেকারণেই কাপ্তানকে গদিচ্যুত করতে পাক সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল আমেরিকা। এক মার্কিন সংবাদমাধ্যম তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, ২০২২ সালের ৭ মার্চ আমেরিকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন বিদেশ দফতরের দুই আধিকারিক। সেখানেই পাকিস্তানকে একঘরে করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এর একমাস পরেই সংসদে আয়োজিত অনাস্থা ভোটে হেরে যান ইমরান। এর জেরেই প্রধানমন্ত্রীর গদি হারাতে হয় ইমরানকে। ক্ষমতায় আসে শাহবাজ শরিফ সরকার। তবে ইমরানকে ক্ষমতা থেকে না সরালে পাকিস্তানকে একঘরে করার হুমকি দিয়েছিল আমেরিকা। তারপরই ধীরেধীরে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে বিরোধী শিবির।

 

 

Previous articleএবার র‍্যা*গিং-এর শিকার নবম শ্রেণির ছাত্র! বাঁচতে পাঁচিল টপকে পালালো পড়ুয়া
Next articleযাদবপুরের পরে বিশ্বভারতী, ছাত্রীর পোস্ট ঘিরে তুমুল শোরগোল স্যোশাল মিডিয়ায়