এবার র‍্যা*গিং-এর শিকার নবম শ্রেণির ছাত্র! বাঁচতে পাঁচিল টপকে পালালো পড়ুয়া

অভিযোগ, গত বেশ কয়েকদিন ধরেই উঁচু ক্লাসের পড়ুয়ারা তার উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছিল।

র‍্যাগিং বন্ধে নানান নিয়ম হয়েছে। কিন্তু যার জন্য এই নিয়ম সেটা যে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যু তার জল জ্যান্ত উদাহরণ। র‍্যাগিং-এর জেরেই ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ উঠছে।গত কয়েকদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এর মধ্যেই কলকাতার ঢিল ছোড়া দূরত্বে নামী একটি স্কুলে নবম শ্রেণির এক পড়ুয়াকে র‍্যাগিং করার অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তীর উঁচু ক্লাসের দাদাদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে অভিঘাত এমনই, যে, গভীর রাতে প্রবল ঝড়বৃষ্টির মধ্যেও হস্টেলের পাঁচিল টপকে পালিয়ে গিয়েছে ওই ছাত্র। শেষ পর্যন্ত ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে নৈশ প্রহরীরা।

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রের নাম সাব্বার হোসেন। সে বাদুড়িয়া থানার মাদ্রা এলাকার বাসিন্দা। সাব্বার উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার বাণীপুর জহর নবোদয় বিদ্যালয়ের পড়ুয়া। স্কুলেরই হস্টেলে থাকত সে। অভিযোগ, গত বেশ কয়েকদিন ধরেই উঁচু ক্লাসের পড়ুয়ারা তার উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছিল।

কী ধরনের নির্যাতন, তাও জানা গিয়েছে।জ্যামিতি বক্সের কাঁটা কম্পাস দিয়ে তার শরীরে আঘাত করার পাশাপাশি ওই পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। নিগৃহীত ছাত্র আরও জানিয়েছে, ‘দাদা’দের কথা অনুযায়ী জল না এনে দেওয়ার জন্য মেরে তার মুখ লাল করে দেওয়া হয়। অভিযুক্তরা নিচু ক্লাসের ছাত্রদের বাড়ি থেকে আনা খাবার-দাবার সমস্ত কিছু কেড়ে খেয়ে নিত, কারণে-অকারণে মারত, বাবা মার নাম করে অকথ্য গালাগাল দিত, হাউসের ভিতরেই ধূমপান করত। বারণ করলে পাল্টা মারধর এবং ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হত বলে জানিয়েছে ওই ছাত্র।

এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতেই ছাত্রটি পুাঁচিল টপকে পালায়।ভিজতে ভিজতে ১০ কিলোমিটার হাঁটার পর হাবড়া থানার কুমড়া বাজার এলাকার নৈশ প্রহরীরা তাকে দেখতে পায়। চোখে পড়ে কিশোরকে।  জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সব কথা খুলে বলে সাব্বার। এরপরেই তার বাড়িতে এবং হাবড়া থানায় খবর দেন ওই নৈশ প্রহরীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।পরিবারের লোকের হাতে তুলে দেওয়া হয় কিশোরকে।

ঘটনা জানাজানি হতেই স্কুল ও হোস্টেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ওই নৈশ প্রহরীরা দাবি করেছেন, তাঁরা না খেয়াল করলে কিশোরের বড় বিপদ হতে পারত। ঘটনার বিষয়ে নবোদয় বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল আলো আচার্য কিছু বলতে চাননি।

 

 

 

 

Previous articleশিব অবতারেই অক্ষয়ের লক্ষ্মী লাভ? এক নজরে OMG 2 – এর বক্সঅফিস রিপোর্ট!
Next articleজে.লে কাপ্তান! পার্লামেন্ট ভেঙে পাকিস্তানে শুরু নির্বাচনের তোড়জোড়