পাঞ্জাব এফসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল

পাঞ্জাব এফসিকে হারাল ১-০ গোলে। এই জয়ের ফলে ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল লাল-হলুদ ব্রিগেড। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন জেভিয়ার সিভেরিও।

ছবি : দেবস্মিত মুখোপাধ্যায়

ডার্বি জেতার পরও জয়ের ধারা অব‍্যাহত ইস্টবেঙ্গল এফসির। এদিন ডুরান্ড কাপে দুরন্ত জয় পেল কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল। পাঞ্জাব এফসিকে হারাল ১-০ গোলে। এই জয়ের ফলে ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল লাল-হলুদ ব্রিগেড। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন জেভিয়ার সিভেরিও। ইস্টবেঙ্গলের জয়ের ফলে, ডুরান্ড কাপে মোহনবাগানের পরের রাউন্ডে যাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়ে গেল।

ম‍্যাচে প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যেই দুইবার ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণে হানা দেয় পাঞ্জাব এফসি।একবার দারুণ সুযোগ এসে গিয়েছিল লাল-হলুদের প্রাক্তনী জুয়ান মেরা গঞ্জালেজের কাছে।তবে তাঁর শট সেভ করেন লাল-হলুদ গোলরক্ষক গিল। ১০ মিনিটে রিকি স্যাবং-এর শটও বাঁচান গিল। প্রথম দিকে তেমন আক্রমণে ঝড় না তুললেও, পরের দিকে আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায় কুয়াদ্রাতের দল। যার ফলে গোল পেয়ে যায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। ইস্টবেঙ্গলকে গোল করে ১-০ এগিয়ে দেন জেভিয়ার সিভেরিও। ২২ মিনিটে ডানদিক থেকে বোরহা হেরেরার ভেসে আসা ক্রস থেকে মাথা ছুঁইয়ে গোল করে যান সিভেরিও। ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে এটা তাঁর দ্বিতীয় গোল। জুয়ান মেরার সঙ্গে সৌভিক চক্রবর্তীর লড়াই বেশ জমে ওঠে। ৪০ মিনিটে আবারও সিভেরিও এগিয়ে দিতে পারতেন ইস্টবেঙ্গলকে। বাঁদিক থেকে নাওরেম মহেশ সিং-এর ক্রস থেকে হেড করেন সিভেরিও। সেই হেড বারে লেগে বেরিয়ে না এলে প্রথমার্ধেই দুই গোলে এগিয়ে যেতে পারত লাল-হলুদ।

দ্বিতীয়ার্ধে গোটা মাঠ জুড়ে রাজত্ব করতে থাকে লাল-হলুদ। ৬৭ মিনিটে বোরহাকে তুলে পেদ্রো লুকাসকে নামান কোচ। ম্যাচের শেষের দিকে ক্লেইটন সিলভাকে নামানো হয়। তবে এই মরশুমে প্রথম ম্যাচে নেমে সুযোগ নষ্ট করেন তিনি। এরপর আক্রমণে গেলেও গোলের সংখ্যা বাড়াতে পারেনি কুয়াদ্রাতের দল। ওপরদিকে আক্রমণে গিয়েও গোলের দরজা খুলতে পারেনি পাঞ্জাব এফসি।

আরও পড়ুন:নতুন সাজে মহামেডান ক্লাব, বিশেষ সম্মান ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়-আসলাম পারফেজকে

 

 

 

Previous articleধুপগুড়ি বিধানসভা আসনে ৫ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচন, মোতায়েন ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী
Next articleবাইপাসে হবে আতশবাজি হাব, জায়গা চূড়ান্ত করল রাজ্য সরকার