Sunday, November 9, 2025

যাদবপুরকাণ্ডে সৌরভের মারা.ত্মক স্বীকারোক্তি! জেরা করলেন স্বয়ং কমিশনার

Date:

Share post:

যাদবপুরে (Jadavpur University)পড়ুয়া মৃত্যুতে এবার ধৃতদের সরাসরি জেরা করলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার (The Commissioner of Police, Kolkata)বিনীত গোয়েল (Vineet Kumar Goyal)। আর সেখানেই সৌরভ চৌধুরীর (Saurav Chowdhury) চাঞ্চ*ল্যকর স্বীকারোক্তি। জানা যাচ্ছে বাংলা বিভাগের ছাত্র পড়ে যাওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে জেনারেল বডি-র মিটিং ডাকেন সৌরভ, হস্টেল ক্যাম্পাসের মধ্যেই খোয়ার মাঠে প্রথম জিবি মিটিং (GB Meeting)। শুধু তাই নয়, কোনও প্রশ্ন না করে নির্বিবাদে আদেশ মেনে চলার কথাও বলা হয়। শনিবার লালবাজারে কমিশনারের ঘরে নিয়ে যাওয়া হয় সৌরভ সহ পাঁচজন ধৃতকে। সেখানেই তাঁদের জেরা করা হয়।

যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল এই সৌরভকেই। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ছাত্র ছিলেন।মৃত পড়ুয়ার বাবা যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, সেখানেও এই সৌরভের নাম ছিল। সৌরভের পর এই ঘটনায় আরও দুই ছাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁরা হলেন মনোতোষ ঘোষ এবং দীপশেখর দত্ত। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পড়ুয়া। তিন জনকে একসঙ্গে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। তাঁদের আগামী ২২ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে ‘নাটের গুরু’ সৌরভ বলেই অভিযোগ উঠছিল। সৌরভকে গ্রেফতারের আগে কসবা থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তখনও পুলিশ কমিশনার তাঁর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছিলেন। এর পর শনিবারও সৌরভকে আলাদা করে জেরা করলেন বিনীত গোয়েল (Vineet Kumar Goyal)। পুলিশের স্ক্যানারে মৃত পড়ুয়া ও ধৃতদের মোবাইল ফোন। মৃত্যুর আগে র‍্যাগিংয়ের কথা কি কাউকে মেসেজ বা হোয়াটসঅ্যাপে জানিয়েছিলেন ওই পড়ুয়া ? সেটা কি ডিলিট করে দেয় অভিযুক্তরা ? এইসব জানতে ইতিমধ্যেই ফরেনসিকের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যাদবপুরকাণ্ডে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের তদন্তেও উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ‘জিজ্ঞাসাবাদে হস্টেলের বেশিরভাগ পড়ুয়াই বলছেন শেখানো বুলি, নির্দিষ্ট প্রশ্ন করা হলেই এড়িয়ে যাচ্ছেন হস্টেলের পড়ুয়ারা’, দাবি রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের সদস্য শান্তি দাস বসাকের। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সৌরভ, মনোতোষ, দীপশেখর ছাড়াও আছেন জম্মুর বাসিন্দা মহম্মদ আরিফ (তৃতীয় বর্ষ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দা আসিফ আফজল আনসারি (চতুর্থ বর্ষ, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা অঙ্কন সরকার (তৃতীয় বর্ষ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির বাসিন্দা অসিত সর্দার (প্রাক্তনী), মন্দিরবাজারের সুমন নস্কর (প্রাক্তনী) এবং পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বাসিন্দা সপ্তক কামিল্যা (প্রাক্তনী)। গতকাল আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।

 

spot_img

Related articles

‘অরণি সরণি’, উৎপল সিনহার কলম 

প্রথমে সিমেন্টের রাস্তায় লোহার ঠেলাগাড়ির আওয়াজ তারপর চিৎকার , ' ময়লা আছে? ' ছুটে যাই । উপুড় করে দিই ডাস্টবিন। ভাবি যদি সব ময়লা...

ফর্ম বিলি করতে গিয়ে ব্রেন স্ট্রোক! SIR-আতঙ্কে মৃত্যু এবার BLO-র

কারো নাম নেই ভোটার তালিকায়, কারো পরিচয়ে ভুল। এই সব আতঙ্কে যখন রাজ্যে একের পর এক সহনাগরিকদের মৃত্যু...

সংকটে ভারতীয় ফুটবল, কঠিন সময়ে সরব হলেন ইস্টবেঙ্গলের দুই তারকা

ভারতীয় ফুটবলে বিপণন করার কেউ নেই।দেশের সর্বোচ্চ লিগ না হলে একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে ভারতীয় ফুটবল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।...

কীভাবে দত্তাবাদে খুন স্বর্ণ ব্যবসায়ী: এবার তদন্তে গোয়েন্দা বিভাগ

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বাসিন্দা। সোনার ব্যবসা করতেন নিউটাউনের দত্তাবাদে। দেহ পাওয়া গেল যাত্রাগাছির কাছে। খুনে নাম জড়ালো জলপাইগুড়ির...