গত ছ’বছর থেকে প্রতিবেশীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন এক বধূ। আচমকাই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে উত্তর চব্বিশ পরগনার আমতলায়। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে ওই বধূকে। তাই প্রমাণ লোপাটের জন্য কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে আমতলার শ্মশানে সৎকার করার চেষ্টা করছিলেন অভিযুক্ত। এই ঘটনায় মৃতার পরিয়াব্রের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত জয়ন্ত সাহাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।শনিবার মৃতার ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কর্মীর সঙ্গে প্ৰতিবেশির পরকীয়াতে আপত্তি সেলুন মালিকের? শান্তিনিকেতনে শিশু খু*নে চাঞ্চল্যকর তথ্য
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম মৌসুমি সর্দার। স্থানীয় সূত্রে খবর, আমতলার বাসিন্দা মৌসুমি। গত ছ’বছর ধরে জয়ন্ত নামে যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন। জয়ন্ত একটি ওষুধ দোকানের মালিক। তাঁর বাড়ি উস্তিতে। মৌসুমীর শ্বশুরবাড়ির তরফে অভিযোগ, খুন করা হয়েছে মৌসুমিকে। শুধু তাই নয়, তাঁদের অন্ধকারে রেখে সৎকারের জন্য দেহ নিয়ে শ্মশানে চলে যান জয়ন্ত এবং তাঁর কয়েক জন বন্ধু। ওই খবর পেয়ে শ্মশানে ছুটে যান মৌসুমির পরিবারের লোকজন। এর পর অশান্তির পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে আমতলা শ্মশান চত্বর।
মৃতার দেহের ময়নাতদন্ত এবং অভিযুক্ত ‘প্রেমিক’কে গ্রেফতারির দাবি তোলেন মৌসুমির পরিবারের লোকজন। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশও।আমতলা বাজারে অভিযুক্তের ওষুধের দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। ঘণ্টাখানেকের বিক্ষোভের পর জয়ন্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় মৌসুমির। জয়ন্ত দাবি করেছেন, মৌসুমি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়। অন্য দিকে পরিবারের দাবি, ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে। মৃতার মেয়ে শ্রাবন্তী সর্দারের অভিযোগ, ‘‘আমার মাকে খুন করা হয়েছে। শ্বাসরোধ করে মেরেছে। গলায় দাগ আছে মায়ের।’’