চন্দ্রযান থেকে বিচ্ছিন্ন হতেই চাঁদমামার বাড়ির ছবি পাঠাল বিক্রম

চাঁদের চারপাশে চক্কর দেওয়ার কাজ আগেই শেষ হয়েছিল ৷ চন্দ্রযান থেকে আলাদা হয়ে ল্যান্ডার বিক্রমের ক্যামেরায় ধরা পড়ে চাঁদমামার ছবি৷ ইসরোর (ISRO) টুইটে সামনে এল সেই ভিডিয়ো। দেখা যাচ্ছে, ধূসর চন্দ্রপৃষ্ঠের এবড়োখেবড়ো নানা অংশ। পৃথিবী এতটাই দূরে যে সামান্য একটুকরো ধরা পড়েছে ল্যান্ডারের ক্যামেরায়। ফ্রেমের বড় অংশ জুড়ে শুধুই চাঁদ ও তার পৃষ্ঠে ছড়িয়ে থাকা একাধিক সব বড় বড় গর্ত। প্রথমেই ধরা পড়েছে লুনার ইমপ্যাক্ট ক্রেটার ‘ফ্যাবরি’। তার পর ধীরে ধীরে দেখা যাচ্ছে, ‘জর্ডানো ব্রুনো’, ‘হার্খেবি জে’-এর মতো একের পর এক চেনা গহ্বর। বিশাল চন্দ্রপৃষ্ঠের সামনে পৃথিবীকে প্রায় দেখাই যাচ্ছে না। ছবিতে পৃথিবীকে দেখাচ্ছে অতি ক্ষুদ্র নকুলদানার মতো।আর এতেই উচ্ছ্বসিত বৈজ্ঞানিকরা। কারণ অভিযানের এই পর্যায়ে চাঁদের ঠিক যতটা কাছে পৌঁছনোর কথা ছিল, ঠিক ততটাই কাছে পৌঁছে গিয়েছে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। এখন শুধু ২৩ অগস্ট, ল্যান্ডারের চাঁদের মাটি ছোঁয়ার দিনগোনা শুরু।

আরও পড়ুনঃ ইসরোর মুকুটে নয়া পালক, ৭ কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ে মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দিল রকেট!

ইসরোর তরফে এদিন একটি নয়, পর পর দুটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়। এর মধ্যে প্রথমটি ১৫ অগস্টের। এদিনের ভিডিয়োতে চাঁদের অন্ধকার দিকটি উঠে এসেছে। এই দিকেই অবতরণের লক্ষ্য রয়েছে চন্দ্রযান-৩-এর। আর দ্বিতীয় ভিডিওটি তোলা ১৭ অগস্টের। সদ্য প্রোপালশান মডিউল থেকে আলাদা হওয়ার পরই ল্যান্ডার বিক্রমের ক্যামেরায় যে ভাবে চাঁদের ছবি ধরা পড়ে, তারই ভিডিও এটি। এতে চাঁদের ‘ফার সাইড’-এ যে ‘লুনার ইমপ্যাক্ট ক্রেটার’ রয়েছে, সেগুলির ছবি উঠে এসেছে।


বক্স আকৃতির প্রোপালশন মডিউলটিতে রয়েছে একটি অতিকায় সৌর প্যানেল ও একটি সিলিন্ডার। এর সঙ্গেই যুক্ত ছিল ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান। এদের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর প্রপালশন মডিউলটি কাজ করছে রিলে স্যাটেলাইট হিসেবে। এবার বিক্রম এগিয়ে চলবে চন্দ্রপৃষ্ঠে সফট ল্যান্ডিং করতে। সেটি চাঁদের মাটিতে নেমে পড়লে শুরু হবে প্রজ্ঞানের কাজ। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী বুধবার সফট ল্যান্ডিং করতে পারে বিক্রম। উল্লেখ্য, গতবারের প্রচেষ্টায় এই সফট

গত ১৪ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে যে মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল সেটি আগামী ২৩ অগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চল স্পর্শ করবে বলে আশা করা হচ্ছে । চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণের জন্য একটি জিএসএলভি মার্ক ৩ (এলভিএম 3) ভারী-লিফট লঞ্চ ভেহিকেল ব্যবহার করা হয় এবং ৫ অগস্ট চাঁদের কক্ষপথে স্থাপন করা হয় মহাকাশযানটিকে ৷ তারপর থেকে এটি বেশ কয়েকটি কক্ষপথের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে গিয়েছে চন্দ্রপৃষ্ঠের দিকে ৷ এবার শুরু হয়ে গেল দেশের স্বপ্নের উড়ানের হাতে চাঁদ পাওয়ার দিনগোনা ৷

Previous articleBreakfast Sports : ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleযাদবপুরকাণ্ডে অভিযুক্তদের জেরা করতেই উঠে এল বিস্ফোর.ক তথ্য