সকালে ফেসবুকে নিজের সমর্থনে লম্বা-চওড়া পোস্টের পর সন্ধেয় যাদবপুর থানায় হাজির অরিত্র মজুমদার ওরফে আলু। মঙ্গলবার সন্ধে ৭ টা নাগাদ যাদবপুর থানায় যান অরিত্র। জানা গিয়েছে, পুলিশি তলব পেয়ে যাদবপুর থানায় হাজির হন অরিত্র। ৯ অগস্টের রাতের ঘটনা সম্পর্কে তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি এদিন তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রুদ্রকেও তলব করে পুলিশ।

যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার তার নাম জড়ানোর প্রসঙ্গে মঙ্গলবার সকালে ফেসবুকে নিজের সাফাই লিখে পোস্ট করেন অরিত্র। তার দাবি, ঘটনার পরের দিন ১০ তারিখে কাশ্মীরে ছিল সে। মিডিয়া এবং বেশ কিছু ছাত্র সংগঠন তার নামে মিথ্যা প্রচার করছে। যে কোনওরকম তদন্তের সামনে দাঁড়াতে প্রস্তুত। অরিত্র আরও জানিয়েছে, সে কাশ্মীরে ট্রেকিংয়ে গিয়েছিল। চার মাস আগে থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসের টিকিট এবং দিল্লি থেকে শ্রীনগরগামী বিমানের টিকিট কাটা ছিল তার। ফেসবুকে টিকিটগুলির ছবি প্রকাশ করে তার দাবি, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় কোনওভাবে সে যুক্ত নয়। ঘটনার দিন সে হস্টেলে যায়নি। যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত বলেও ফেসবুকে লিখেছে।

এদিকে অরিত্রর ফেসবুক পোস্ট সামনে আসার পরই তাঁকে তলব করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কমিটি। আগামীকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের তরফে এদিন দুপুরে হোয়াটস অ্যাপ এবং মেলে অরিত্র ওরফে আলুকে এই বিষয়ে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই নির্দেশ আসার কিছু পরেই যাদবপুর থানা থেকে তাঁকে তলব করা হয়। এরপরই সন্ধে সাতটার কিছু পরে যাদবপুর থানায় পৌঁছন অরিত্র ওরফে আলু। ৯ অগস্টের রাতের ঘটনা সম্পর্কে তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করছেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন- যাদবপুরে ছাত্র-মৃ.ত্যু: ফেসবুক পোস্টে একের পর এক অসংগতি! পুলিশের নজরে ছাত্রনেতা অরিত্র
