বিনোদনে ভরপুর টেলি অ্যাকাডেমি পুরস্কার মঞ্চে ‘গায়েব ‘ রাজনীতির রং!

সরকারের বিপক্ষে বারংবার সরব হওয়া বিখ্যাত নাট্য শিল্পী এবং অভিনেতা কৌশিক সেন (Kausik Sen) এ দিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করলেন।

রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে কলকাতার আলিপুরের ‘ধন ধান্য’ প্রেক্ষাগৃহে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হল ‘টেলি অ্যাকাডেমি পুরস্কার’ (Tele Academy Awards)। ছোটপর্দায় সুপারস্টারদের হাতে এদিন পুরস্কার তুলে দেওয়া হল। হাজির ছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন টেলি-টলি দুনিয়া থেকে হাজির ছিলেন এক ঝাঁক তারকারা। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে কোথাও গিয়ে মিলেমিশে একাকার হল বিনোদনের রং। সরকারের বিপক্ষে বারংবার সরব হওয়া বিখ্যাত নাট্য শিল্পী এবং অভিনেতা কৌশিক সেন (Kausik Sen) এ দিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করলেন।

সেরা অভিনেতার তকমা ছিনিয়ে নিলেন দিব্যজ্যোতি দত্ত। অন্যদিকে সেরা অভিনেত্রী হলেন ‘জগদ্ধাত্রী’র অঙ্কিতা মল্লিক (Ankita Mallik)।মরোণোত্তর বিশেষ কৃতি সম্মান প্রদান করা হয় ঐন্দ্রিলা শর্মাকে। সব্যসাচীর বিশেষ প্রশংসা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সবথেকে বড় চমক এ বছর পুরস্কার পেলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন তার বক্তব্যে বলেন এখানকার টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি একদিন বিশ্বের দরবারে সম্মানিত হবে। যেভাবে প্রাসঙ্গিক বিষয়কে সিরিয়ালের বিভিন্ন চিত্রনাট্যকে তুলে ধরা হয় তার প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি কোন অপরাধমূলক ঘটনার প্রেক্ষিতে তৈরি গল্পে আইন এবং প্রশাসনিক পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরার অনুরোধ করেন। সবথেকে মজার ব্যাপার হলো এ বছর পুরস্কার প্রাপকের তালিকায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। গুড্ডি ও জগদ্ধাত্রী সিরিয়ালের গীতিকার ও সুরকার হিসাবে টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিষয়টাকে মজার ছলে গ্রহণ করলেও সেই অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ নেননি মুখ্যমন্ত্রী।

এক নজরে দেখুন সেরার তালিকা-

সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিয়াল- অনুরাগের ছোঁয়া ও জগদ্ধাত্রী

সেরা অভিনেতা- দিব্যজ্যোতি দত্ত (অনুরাগের ছোঁয়ার সূর্য)

সেরা অভিনেত্রী- অঙ্কিতা মল্লিক (জগদ্ধাত্রী)

সেরা পরিবার- অনুরাগের ছোঁয়া, নিম ফুলর মধু এবং গাঁটছড়া

সেরা জুটি- সূর্য-দীপা (অনুরাগের ছোঁয়া) এবং বিক্রম-ইন্দিরা (বাংলা মিডিয়াম)

সেরা বয়স্ক জুটি– মিঠু চক্রবর্তী ও অনিন্দ্য সরকার

সেরা প্রযোজক- ম্যাজিক মোমেন্টস (লীনা গঙ্গোপাধ্যায় ও শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং টেন্ট (সুশান্ত দাস)

সেরা বউমা- স্বস্তিকা ঘোষ (অনুরাগের ছোঁয়ার দীপা)

প্রিয় ছেলে- গৌরব চট্টোপাধ্যায় (গাঁটছড়ার ঋদ্ধি) রাহুল মজুমদার (হরগৌরী পাইস হোটেলের শঙ্কর)

সেরা শাশুড়ি – রূপাঞ্জনা মিত্র (অনুরাগের ছোঁয়ার লাবণ্য সেন)

সেরা মা- জুন মালিয়া (গাঁটছড়ার মঞ্জিরা)

সেরা বোন ও ভাই- অনুষ্কা (গাঁটছড়ার বনি) প্রারব্ধি (অনুরাগের ছোঁয়ার জয়)

বিশেষ পুরষ্কার- তৃণা সাহা (বালিঝড়ের ঝোড়া)

সেরা খল-নায়ক- অনিন্দ্য চক্রবর্তী (খেলনা বাড়ির পলাশ) ও অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় (গাঁটছড়ার রাহুল)

সেরা খল-নায়িকা- চান্দ্রেয়ী ঘোষ (গৌরী এল-র শৈলজা), রশ্মি ভট্টাচার্য (গোধূলি আলাপের রোহিনী), প্রিয়া পাল (জগদ্ধাত্রীর দিব্যা), অহনা দত্ত (অনুরাগের ছোঁয়ার মিশকা)

আজীবন অবদানের স্বীকৃতি- সুমন্ত মুখোপাধ্যায়

‘সেরা অভিনয়’ (বিশেষ সম্মান)- কৌশিক সেন (গোধূলি আলাপ)

মরোণোত্তর বিশেষ কৃতি সম্মান- ঐন্দ্রিলা শর্মা

অনুপ্রেরণা মূলক চরিত্র- সব্যসাচী চৌধুরী (রামপ্রসাদ) তিয়াসা লেপচা (বাংলা মিডিয়াম)

পাদ প্রদীপের তলায় (বিশেষ সম্মান)- নিমাই ঘোষ