২৮ শে সমাবেশের আগে ছাত্র সমাজকে ‘দায়িত্ব-কর্তব্য’ পাঠ দিলেন কুণাল-তাপস

কলেজ স্কোয়ারে মধ্য ও উত্তর কলকাতার একটি প্রস্তুতি সভায় হাজির ছিলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, বিধায়ক তাপস রায় সহ ছাত্র রাজনীতি করে উঠে আসা উত্তর ও মধ্য কলকাতার তৃণমূল নেতৃত্ব

আর কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা। আগামী সোমবার ২৮ আগস্ট গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের ছাত্র সমাবেশ।
প্রধান বক্তা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ শীর্ষ নেতৃত্ব। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ২৬তম প্রতিষ্ঠা দিবসের আগে চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। আজ, শনিবার কলেজ স্কোয়ারে মধ্য ও উত্তর কলকাতার একটি প্রস্তুতি সভায় হাজির ছিলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, বিধায়ক তাপস রায় সহ ছাত্র রাজনীতি করে উঠে আসা উত্তর ও মধ্য কলকাতার তৃণমূল নেতৃত্ব।

এদিন উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মূলত ছাত্র সমাজের দায়িত্ব-কর্তব্য মনে করিয়ে দেন কুণাল ঘোষ। পাশাপাশি ছাত্র আন্দোলন করতে গিয়ে নিজের লড়াই, সংগ্রাম ও গ্রেফতারের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।

এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গর্ব করে বলেন, তিনি ৫টি প্রজন্ম তৈরি করে দিয়ে গিয়েছেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট এই ছাত্রছাত্রীরা। তাই ২৮ আগস্ট দলবেঁধে মেয় রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে যেতে হবে। সেখানে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেনাপতি অভিষেক ছাত্র সমাজের জন্য বার্তা দেবেন। আর সেখান থেকে এসে সেই বার্তা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিন। ছাত্র পরিষদকে আরও শক্তিশালী করে তুলুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেকের ছবি ছাত্র সমাজকে অনুপ্রাণিত করে, উদ্বেলিত করে, আর দলের প্রতি অন্তর থেকে ভালোবাসা থাকে বলেই সেটা হয়। ছাত্র পরিষদ থেকেই তো আগামির নেতা-নেত্রীরা উঠে আসেন।”

ছাত্র পরিষদের প্রতি দলনেত্রীর বিশেষ গুরুত্ব বোঝাতে কুণাল বলেন, “অবিভক্ত কংগ্রেসের অনেক প্রণম্য নেতা ছিলেন, তাঁরা প্রয়াত হয়েছেন। কিন্তু পরবর্তী প্রজন্মকে সামনে তুলে আনতে পারেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেরেছেন। তিনি নিজেও ছাত্র রাজনীতি করে উঠে আসা নেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক লড়াই করে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম না দিলে সিপিএম আজও ক্ষমতায় থাকতো।”

ছাত্র পরিষদের দায়িত্ব-কর্তব্যর পাঠ দেন কুণাল। তিনি বলেন, “ছাত্র পরিষদ মানে শুধু তৃণমূলকে ক্ষমতায় রাখা নয়। পাড়ায় পাড়ায়, এলাকায় এলাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্র সমাজের জন্য যা যা উপকার করেছেন, সেগুলি তুলে ধরা। স্কুলে গেলে বাচ্চাদের জুতো, ব্যাগ থেকে শুরু করে স্কুলছুট আটকাতে কন্যাশ্রী, সবুজবসাথী, ট্যাপ, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড করেছেন। আর সেখানে উত্তরপ্রদেশে শিক্ষিকার সামনে ছাত্র পেটানো হচ্ছে। বাংলায় এসব হয়না।”

সিপিএম জমানায় শিক্ষার অবনতি প্রসঙ্গ তুলে কুণাল বলেন, “এসএফআই দেখলে বলবেন, তাদের পূর্বসূরীরা প্রাথমিক থেকে ইংরেজি তুলে দিয়ে নিজের নাতি-নাতনিদের ইংরেজি মাধ্যমে পড়িয়ে বিদেশে পাঠিয়েছে। রাজ্যে কম্পিটার ঢুকতে দেয়নি। তাই ছাত্র সমাজের উন্নতির জন্য তৃণমূলই ভালো।”

এদিন বিধায়ক তাপস রায়ের উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালন করে উত্তর-মধ্য কলকাতায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একটি অংশ। তিনি নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে তাঁর উঠে আসার কথা বলেন। ছাত্র পরিষদের সংস্কৃতিকে মুষ্টিমেয় কয়েক জনের স্বার্থসিদ্ধির জন্য নষ্ট না হতে দেবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দেন।

আরও পড়ুন- সোনারপুরে সমবায় সমিতিতে দুর্নী.তির অভিযোগ! রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষো.ভ গ্রাহকদের

Previous articleমুম্বইয়ের বিরুদ্ধে পরিসংখ্যান নিয়ে ভাবতে নারাজ বাগান অধিনায়ক
Next articleটেলি অ্যাকাডেমির মঞ্চে পুরস্কৃত গীতিকার-সুরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! নাম ঘোষণার পরেই…