রবিবার সাতসকালে মালগাড়িতে নাবালকের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় হাওড়ার লিলুয়া ভট্টনগর এলাকায়। কীভাবে মালগাড়িতে নাবালকের দেহ? এর তদন্তে নামে পুলিশ।তদন্তের কিনারা করতেই উঠে আসে নৃশংস ঘটনার ছবি। কে রাখল নাবালকের দেহ?
আরও পড়ুনঃফের ইতিহাস গড়লেন নীরজ, বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে জিতলেন সোনার পদক

জানা গেছে, রেল ব্রীজের উপর থেকে চলন্ত মালগাড়িতে প্রেমিকার ছেলেকে ছুড়ে ফেলে তাকে হত্যা করে এক ব্যক্তি। শনিবার শিউড়ে ওঠার মত ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের খানা জংশনের কাছে। রবিবার সকালে হাওড়ার লিলুয়া ভট্টনগর এলাকায় মালগাড়ি থেকে আহিদ শেখ নামে ওই নাবালকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়।
রবিবার মৃত নাবালকের মামা দেহ উদ্ধার করতে আসেন হাওড়ায় । তাঁর নাম রফিকুল শেখ। তিনি জানান, শনিবার রাতে তাঁর বোন ফোনে তাঁকে ঘটনা জানায়। এরপরই তিনি হাজির হন ঘটনাস্থলে। রফিকুলের দাবি, তাঁর বোনের স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক নেই অনেকদিন ধরেই। বোনের স্বামী অন্য একজন মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। তাঁকে বিয়ে করে মুম্বইয়েও চলে যান। এরপর ছেলেকে নিয়ে বোন থাকতেন। এসবের মধ্যেই হেদায়তুল্লা শেখ নামে একজনের সঙ্গে বোনের পরিচয় হয়। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়েও আসেন।কিন্তু শনিবার রাতে প্রেমিকার ছেলেকে রেল ব্রিজ থেকে মালগাড়িতে ফেলে দেয় ওই যুবক।
রফিকুল জানান, শনিবার রাতে বোন ছেলেকে নিয়ে হেদায়তুল্লার সঙ্গে দেখা করতে যান। অভিযোগ, এরপরই বোনকে মারধরের পাশাপাশি গয়নাগাটিও কেড়ে নেন। রফিকুল বলেন, “বোনের থেকে জানতে পারি অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল ওকে। খানা জংশনের কাছে নামায়। ওখান থেকেই সমস্যা শুরু। এরপরই অশান্তি, মারধর করে হেদায়তুল্লা শেখ। ভাগ্নেকে মারে। তারপর ব্রিজের উপর থেকে রেলের খালি বগিতে ফেলে দেয়। আমার বোনকেও ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কোনওভাবে পালিয়ে আসে।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান ও লিলুয়া থানার পুলিশ।
