অমিতাভের বাড়িতে নেহাত চায়ের আড্ডা-রাখি বন্ধনে মমতা, নাকি জয়াকে নিয়ে অন্য সমীকরণ?

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে অভিনেত্রী-সাংসদ জয়া বচ্চন বাংলায় এসে তৃণমূলের হয়ে একাধিক নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের নির্দেশে

INDIA জোটের তৃতীয় বৈঠকে যোগ দিতে আগামিকাল বুধবার মুম্বই যাবেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সফরেও তাঁর সঙ্গী দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুম্বই যাচ্ছেন, তা জানার পরই বচ্চন পরিবারের তরফে তাঁকে আমন্ত্রণ করা হয়। আগামিকাল-ই আবার রাখি বন্ধন উৎসব। জানা গিয়েছে, অমিতাভ-জয়ার আমন্ত্রণ রক্ষা করতে মুম্বই বিমানবন্দর থেকে সোজা জুহুতে অমিতাভ বচ্চনের বাসভবন ‘জলসা’য় যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। অমিতাভ বচ্চনকে মমতা রাখি পরাতে পারেন বলেও জানা যাচ্ছে।

বচ্চন পরিবারের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। গতবার কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন অমিতাভ।
জয়া বচ্চনও। যিনি আবার বাংলার মেয়ে। শুধু তাই নয়, জয়া বচ্চন সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভা সাংসদ। জয়ার নিমন্ত্রণেই জলসায় চায়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করবেন দিদি।

তবে রাজনৈতিক মহলের একটি অংশ মনে করছেন, এটা নেহাতই একটি সৌজন্যমূলক চায়ের আমন্ত্রণ নয়। সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে এই সাক্ষাতের একটি রাজনৈতিক তাৎপর্যও রয়েছে। আগামিবছর এপ্রিলে রাজ্যসভায় জয়া বচ্চনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির বর্তমানে বিধায়ক সংখ্যা ১০৮। এই সংখ্যার জোরে জয়ার পুনরায় রাজ্যসভায় ফেরা মুশকিল। এই পরিস্থিতিতে বচ্চন পরিবার ও তৃণমূল—দুই শিবিরের মধ্যেই আগ্রহ হয়েছে জয়াকে বাংলা থেকে মনোনয়ন দেওয়ার। তাছাড়া সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত সুসম্পর্ক। এর আগেও বাংলার বাইরে থেকে বহু রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক মুখকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জয়া বচ্চনের ক্ষেত্রেও তেমন ধারণা অমূলক নয়। জয়া টিপিকাল অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মতো সাংসদ জীবন যাপন করেন না। রাজনীতিতে তিনি অনেক বেশি সিরিয়াস। নিয়মিত সংসদে যান। সংসদে বিতর্কে অংশ নেন। শুধু তাই নয়, জয়া ঘোরতর বিজেপি বিরোধীও বটে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়া বচ্চন বাংলায় এসে তৃণমূলের হয়ে একাধিক নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন অখিলেশ যাদবের নির্দেশে। সেভাবেই আবার উত্তরপ্রদেশ। নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অখিলেশের হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন। ফলে মমতা-অখিলেশ-বচ্চন পরিবারের সঙ্গে একদিকে যেমন সুসম্পর্ক রয়েছে তৃণমূল নেত্রীর, তেমনই সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী একটি রাজনৈতিক সমীকরণ কাজ করতে পারে অমিতাভের বাড়িতে এই চা চক্র ও রাখি বন্ধনের মধ্যে দিয়ে।

Previous articleএশিয়া কাপ শুরুর আগেই ধাক্কা ভারতীয় শিবিরে, প্রথম দুই ম‍্যাচে নেই এই তারকা ক্রিকেটার
Next articleগ্যাসের দাম কমিয়ে ২৪-এর ভোটের আগে ‘সস্তার পাবলিসিটি’ বিজেপির!