চন্দ্রযানের সফ্‌ট ল্যান্ডিং নিয়ে ‘মিথ্যা’ প্রচার গুজরাটের ‘ভুয়ো’ বিজ্ঞানীর!

চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করেছে তৃতীয় চন্দ্রযানের ল্যান্ডার বিক্রম। বৃহস্পতিবার ভোরে ল্যান্ডার বিক্রম থেকে চাঁদের মাটিতে নেমে আসে রোভার প্রজ্ঞান।গুটি গুটি পায়ে এদিক থেকে ওদিক ঘুরে দক্ষিণ মেরুতে তথ্য অনুন্ধান করে চলেছে প্রজ্ঞান। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর সাফল্যে গর্বিত দেশবাসী। এই আবহেও ‘মিথ্যার আশ্রয়’ নিয়ে শিরোনামে মোদি রাজ্য গুজরাত। রাজ্যের বাসিন্দা মিতুল ত্রিবেদীর দাবি, চাঁদে বিক্রমের সফট ল্যান্ডিংয়ে অবদান রয়েছে তাঁরও।

আরও পড়ুনঽএক ঘণ্টায় শেষ ভারত – পাক ম্যাচ টিকিট! সত্যি না গুজব?

মিতুলের দাবি, বিক্রম ল্যান্ডারের প্রাথমিক নকশা তৈরি করেছেন তিনিই। ইসরোর নিয়োগপত্রও প্রমাণ হিসাবে দেখান মিতুল। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে নিজেকে ইসরোর বিজ্ঞানী হিসাবে দাবিও করেন তিনি। এরপরই আস্তা আসে সত্যি সামনে আসে। মিতুলে ‘মিথ্যা’ দাবির অভিযোগ জানানো হয় থানায়। এরপরই মিতুলকে গ্রেফতার করে সুরাত পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ভুয়ো নিয়োগপত্র তৈরি করেছেন মিতুল। ভারতীয় আইন অনুযায়ী মিতুলের বিরুদ্ধে সুরাতের অপরাধ দমন শাখা জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার বিক্রম ল্যান্ডার অবতরণের পর মিতুল একাধিক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে ইসরোর বিজ্ঞানী হিসাবে নিজের পরিচয় দেন। সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় মিতুল জানান, তিনি তৃতীয় চন্দ্রযানের বিক্রম ল্যান্ডারের নকশা তৈরির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রমাণ হিসাবে ভুয়ো নিয়োগপত্রও দেখান তিনি। সেই নিয়োগপত্রে লেখা রয়েছে, ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ইসরোর ‘অ্যানসিয়েন্ট সায়েন্স অ্যাপ্লিকেশন ডিপার্টমেন্ট’-এর সহকারী চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত করা হয় মিতুলকে। এমনকি মিতুল যে ইসরোর ‘স্পেস রিসার্চ মেম্বার’ তারও প্রমাণ দেন তিনি।

মিতুল দাবি করেন মঙ্গল গ্রহ সংক্রান্ত ইসরোর পরবর্তী গবেষণার সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে পুলিশ জানায়, নিজেকে ইসরোর বিজ্ঞানী বলে দাবি করে প্রতিষ্ঠানের সম্মান খর্ব করার চেষ্টা করেছেন মিতুল। তিনি যে কোনও ভাবেই ইসরোর সঙ্গে যুক্ত নন তার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারির পরে আপাতত পুলিশি হেফাজতেই রয়েছে মিতুল।

 

Previous articleএক ঘণ্টায় শেষ ভারত – পাক ম্যাচ টিকিট! সত্যি না গুজব?
Next articleমর্মা.ন্তিক দু.র্ঘটনা আসানসোলের কয়লা খনিতে! কাজ চলাকালীন পিষে মৃ.ত্যু শ্রমিকের