স্পেশাল অলিম্পিক আয়োজিত বিশেষভাবে সক্ষম ক্রীড়াবিদদের পদযাত্রা!

শারীরিক প্রতিবন্ধকতা স্বপ্ন দেখার ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে না। সাফল্যকে হাতের মুঠোয় ধরার জন্য শুধু মন থেকে বিশেষভাবে এক ইচ্ছে শক্তির জন্ম হওয়া দরকার। স্পেশাল অলিম্পিক যেন সেটাই প্রমাণ করলো। আয়োজিত হল এক সচেতনতা মূলক পদযাত্রা। প্রতি বছর বিশেষভাবে সক্ষমদের ক্রীড়া সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্যারা অ্যাথলিট এবং ছাত্র সহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ এই পদযাত্রায় অংশ নেন। এই বছর, কলকাতা ইমানুয়েল স্কুল, বিজয়গড় কলেজ, বিজয়গড় বিদ্যাপীঠের মতো বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই পদযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন। ছিলেন বেশ কয়েকজন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্যারা-অ্যাথলেট (বিশেষভাবে সক্ষম ক্রীড়াবিদ), বিশেষ ক্রীড়াবিদ , স্পেশাল অলিম্পিক ভারত পশ্চিমবঙ্গের এরিয়া ডিরেক্টর অশোক চাকি এবং ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তপন দাশগুপ্ত। এই বছর, রামলীলা থেকে পার্ক সার্কাস ময়দান পর্যন্ত এই পদযাত্রা আয়োজিত হয়।

প্যারালিম্পিক আসলে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক ক্রীড়া যেখানে বিশেষভাবে সক্ষম ক্রীড়াবিদরা বিভিন্ন খেলায় অংশ নেন। প্রতি চার বছর অন্তর অলিম্পিক গেমসের সাথে একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয়। ভারতীয় প্যারা অ্যাথলিটরা ১৯৩৮ সাল থেকে প্যারালিম্পিক গেমসে অংশগ্রহণ করে আসছে। বাংলার ১৫০ টিরও বেশি জাতীয় এবং ৩৮ জন আন্তর্জাতিক প্যারা অ্যাথলিট রয়েছে। পদযাত্রায় অংশ নেওয়া কয়েকজন উল্লেখযোগ্য বোন প্যারা অ্যাথলিট হলেন সাহেব হুসেন, সঞ্চয় দাস, সাহেব হুসেন, উজ্জ্বল ঘোষ, আতর আলী।

স্পেশাল অলিম্পিক নামের আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি বিশেষভাবে সক্ষম ক্রীড়াবিদদের নিয়ে অলিম্পিক ওয়ার্ল্ড গেমস পরিচালনা করে এবং ১৭২টি দেশের অংশগ্রহণকারীদের বছরব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদান করে। বাংলার প্রায় ৫০০০০ জাতীয় এবং ৫০০০ টিরও বেশি আন্তর্জাতিক বিশেষ অলিম্পিক অ্যাথলেট রয়েছে। অ্যাথলেটিক্সের জাতীয় প্যারা-অ্যাথলিট উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, “উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকার বিষয়টি নতুন নয়। আমাদের রাজ্যের প্যারা- অ্যাথলেটরা বহুদিন ধরেই এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত। কিন্তু প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও, আমরা খেলাধূলার প্রতি আমাদের ভালবাসার কারণে অনুশীলন এবং প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বড় টুর্নামেন্টে জেতার ক্ষেত্রে এই অ্যাথলিটরা মূলধারার ক্রীড়াবিদদের চেয়ে কম যান না।

ওয়ার্ক ফর প্যারালিম্পিকসের এই অনুষ্ঠানটি JR ফাউন্ডেশন, ফাইভ ম্যাড মেন এবং স্প্যাসিফাই ইন্টেরিয়ার্স দ্বারা সমর্থিত ছিল। জেআর ফাউন্ডেশনের সিইও রাহুল দাশগুপ্ত এই ইভেন্ট সম্পর্কে বলেছেন, “কলকাতার বুকে এমন একটি অনন্য উদ্যোগ খুবই প্রসংশার দাবি রাখে। গত কয়েক বছর ধরে আমি এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। এখানে উত্থাপিত সমস্যাগুলি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং অবিলম্বে মনোযোগ প্রয়োজন। আমি আশা করি প্যারা-স্পোর্টস এবং প্যারা- অ্যাথলিটদের সম্পর্কে আরও সচেতনতা তৈরিতে এই পদযাত্রা সফল হবে। কারণ তাঁরা আমাদের সমর্থন পাওয়ার যোগ্য।” সিভিলিয়ান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি অভিরূপা কর বলেন, “সার্ভে করে দেখা গেছে যে কলকাতার ১০ জনের মধ্যে ৮ জন এই পদযাত্রার মাধ্যমে প্যারালিম্পিক সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

 

Previous articleমর্মা.ন্তিক দু.র্ঘটনা আসানসোলের কয়লা খনিতে! কাজ চলাকালীন পিষে মৃ.ত্যু শ্রমিকের
Next article“মহারাজ আবার কবে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যান…”, বরুণের নিশানায় যোগী