চিরকুটে চাকরির পর বাম জমানার পণ্য সরবরাহ নিগমের ১০০ কোটির দু.র্নীতি ফাঁস

রাজনৈতিক হত্যা, ধর্ষণ, নির্বাচনের নামে প্রহসন ও গণতন্ত্রের হত্যা সিপিএমের আমলের রোজনামচা ছিল। সেইসঙ্গে ছিল ব্যাপক আর্থিক দুর্নীতি।

সিপিএম (CPIM) তথা বামফ্রন্ট ৩৪ বছর রাজ্যের বুকে অরাজকতা চালিয়ে, আজ তা কারও অজানা নয়। তাদের সময়কালের কু-কীর্তি ধীরে ধীরে ফাঁস হচ্ছে। রাজনৈতিক হত্যা, ধর্ষণ, নির্বাচনের নামে প্রহসন ও গণতন্ত্রের হত্যা সিপিএমের আমলের রোজনামচা ছিল। সেইসঙ্গে ছিল ব্যাপক আর্থিক দুর্নীতি। দলের হোলটাইমারদের পরিবারের অযোগ্য সদস্যদের ঘুরপথে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়া ছিল সিপিএম আমলে অলিখিত নিয়ম। সিপিএম বাড়ির লোকেদের একের পর এক চিরকুটে চাকরি হয়েছে।

এবার সামনে এলো বামফ্রন্ট সরকারের সময় বিপুল পরিমাণ আর্থিক অনিয়ম। একাধিক আর্থিক অনিয়মের জেরে সরকারি সংস্থা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ নিগমের (ইসিএসসি) কোটি কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে। সম্প্রতি বিধানসভায় পেশ হয় এই সংস্থার ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষের বার্ষিক রিপোর্ট। তাতেই বাম আমলের এই অনিয়ম সামনে আসে।

রিপোর্ট বলছে, সরাসরি আর্থিক ক্ষতি ছাড়াও অনিয়মের জেরে আর্থিক দাবি সংক্রান্ত একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা ও বিদেশের আরবিট্রেশন কোর্টে। সব মিলিয়ে ১০০ কোটির বেশি টাকার ক্ষেত্রে গরমিল ও অনিয়ম হয়েছে বলে রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, ২০০৪ থেকে ২০০৬-০৭ সময়কালেই সবচেয়ে বেশি আর্থিক অনিয়ম হয়েছে দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন ধরনের পণ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে।
ইসিএসসি বিভিন্ন ব্য‌ক্তি বা সংস্থাকে পণ্য সরবরাহ ও রপ্তানির জন্য অগ্রিম অর্থ দেয়। সেই টাকা বহু ক্ষেত্রে নয়ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ।

অনেক ক্ষেত্রে আদালতে দুর্নীতির মামলাও চলছে আদালতে। সংস্থার তৎকালীন শীর্ষকর্তারা ওই সব মামলায় অভিযুক্ত। বার্ষিক রিপোর্টে দুই অভিযুক্ত আইএএস অফিসার সহ মোট তিনজন পদস্থ কর্তার গ্রেপ্তারির বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। দুই আইএএস অফিসার ইসিএসসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে ছিলেন। সিপিএম আমলে কোনওরকম টেন্ডার না করে পণ্য পাঠানোর জন্য অগ্রিম কোটি কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। তারপর অনেক সংস্থার কোনও খোঁজই পাওয়া যায়নি।

 

 

 

 

 

 

Previous articleআচমকা ব.জ্রপাতের জের! বাঁকুড়া-পুরুলিয়ায় ম.র্মান্তিক পরিণতি ৬ জনের
Next articleযাদবপুরের রেজিস্ট্রার-জয়েন্ট রেজিস্ট্রারকে হু.মকি চিঠি! অবশেষে পুলিশের জালে কোচবিহারের রানা