ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল মণিপুর। ফের গুলির লড়াই। জানা গিয়েছে স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন ২ সাধারণ নাগরিক। আহত প্রায় ৬০ জনেরও বেশি। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৬টা নাগাদ টেংনোপল জেলার পাল্লেল এলাকায় স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় সেনাবাহিনীর। সংবদমাধ্য়মের খবর, পাল্লের কাছে এলকার মহিলারা রাস্তা অবরোধ করে। তাদের সরাতে গিয়েই সংঘর্ষ বেধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা, ব়্যাফ, মণিপুর পুলিশ ও অসম রাইফেলসের বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কুকি ও মেতেই দুই সম্প্রদায়ের জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে হাতিয়ার জমা নেওয়ার প্রক্রিয়াও চলছে। শুক্রবার দুপুর বারোটার পর এলাকায় কার্ফু জারি করা হয়েছে। ওই গন্ডগোলের জন্য এখন কুকি ও মেইতিরা একে অন্যকে দোষ দিচ্ছে। তবে সন্ত্রাসদমন প্রক্রিয়ায় বাধা দিচ্ছে মেইরা পাইবির মতো সংগঠনগুলি। সাধারণ মানুষ বা ‘ভূমিপুত্র’রা নিজ নিজ সম্প্রদায়ের জঙ্গিদের আড়াল করছে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত ঘোরাল।
প্রসঙ্গত, পাঁচ মাস ধরে জাতিদাঙ্গায় পুড়ছে মণিপুর (Manipur)। হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করার পরও থেকে থেকেই জ্বলে উঠছে হিংসার আগুন। শান্তি ফেরাতে আসরে নামতে হয়েছে সুপ্রিম কোর্টকেও। এই প্রেক্ষাপটে মণিপুরে ‘মানবাধিকার হনন’ ও সরকারের ‘অপর্যাপ্ত’ পদক্ষেপের অভিযোগ তুলে রিপোর্টে মোদি সরকারকে বিঁধেছেন রাষ্ট্রসংঘের বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন- জি২০ সম্মেলনের আগে মুখোমুখি মোদি-হাসিনা! কী কী বিষয়ে আলোচনা হল দুই রাষ্ট্রপ্রধানের?