“উনি বিচারক-উনিই ফাঁ*সুড়ে, একই অঙ্গে দুই রূপ”!রাজ্যপালকে ধুয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী!

রাজ্যপালের অঙ্গুলিহেলনে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে যে সকল রেজিস্ট্রারদের ও উপাচার্য আসেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। শো-কজ করা হবে তাঁদের

রাজ্যপাল স্বেচ্ছাচারী। রাজ্যপাল স্বৈরাচারী। পদের অপব্যবহার করছেন সি ভি আনন্দ বোস। এবার বিকাশ ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির রেজিস্ট্রারদের নিয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন থেকে সরাসরি আনন্দ বোসকে তোপ দাগেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শুক্রবার মূলত যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপাল অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন, সেইসব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের ডাকা হয়েছিল। সেইসঙ্গে রাজ্যপালের অঙ্গুলিহেলনে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে যে সকল রেজিস্ট্রারদের ও উপাচার্য আসেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। শো-কজ করা হবে তাঁদের। ৩১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারকে ডাকা হয়েছিল। মাত্র ১২ জন এসেছিলেন। ১৯ জন আসেননি। যা অভাবনীয়। সরকার ডাকছে রেজিস্টার আসেননি। অভিযোগ, রাজভবন থেকে মেসেজ করে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে না আসার জন্য বলা হয়। হাড়হিম করা সন্ত্রাস চালাচ্ছেন রাজ্যপাল। হুমকির বাবাবরণ তৈরি করা হচ্ছে শিক্ষাবিদদের। ভয়ে আসেননি রেজিস্ট্রাররা।

রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্যদের হুমকি, একাংশের উপাচার্যদের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের হেনস্থার অভিযোগ প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্যে আনন্দ বোসকে এদিন ধুয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। একইসঙ্গে রাজ্যপালের সরাসরি ভিডিও বার্তা দেওয়ার এখতিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী। রাজ্যপাল সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, ”উনিই বিচারক এবং উনিই ফাঁসুড়ে।”

ব্রাত্য বসুর কথায়, “উনি বলছেন ছাত্রীদের হেনস্থা ও দলীয় কার্যকলাপের জন্য বেশ কয়েকজন উপাচার্যকে সরিয়ে দিয়েছেন। উনি কি কারও সঙ্গে কথা বলেছিলেন? অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলেন? ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন রাজ্যপাল। উনিই বিচারক এবং উনিই ফাঁসুড়ে। সম্মানীয় উপাচার্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনছেন। মিথ্যা অভিযোগ এনে পণ্ডিত মানুষদের সম্মানহানি করছেন। এতজন বাঙালি শিক্ষাবিদকে অপমান করে কী লাভ হল আচার্যের? উনি যাঁদের নিয়োগ দিচ্ছেন তাঁরাই ধোয়া তুলসিপাতা? আর বাকিরা খারাপ?”

রাজ্যপালের রাতারাতি অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন তুলে ব্রাত্য বসু বলেন, “একই অঙ্গে দুই রূপ রাজ্যপালের। সংবিধান বহির্ভূত কাজ করেছেন রাজ্যপাল। উনি ইচ্ছামতো লোকজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে বসালেন। যাঁদেরকে উনি বসালেন তাঁরা কি সন্দেহের ঊর্ধ্বে? পড়ানোর সঙ্গে একেবারে যুক্ত নন এমন লোককেও উনি উপাচার্য হিসেবে কাজ করার অধিকার দিচ্ছেন। ইউজিসি-র নির্দেশিকাতেও এটা নেই। অন্তর্বর্তী উপাচার্যের কোনও সুযোগ নেই। রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রীকে অগ্রাহ্য করার পাশাপাশি ইউজিসি, আদালতকেও অপমান করছেন রাজ্যপাল। আইন গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। পুতুল খেলা খেলছেন রাজ্যপাল।”

এদিন শিক্ষামন্ত্রী রাজ্যপালকে কার্যত মিথ্যুক দাবি করে বলেন, “ওঁর নিয়োগ দেওয়া উপাচার্যদের নাকি হুমকি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন রাজ্যপাল। আমরা কিন্তু ওই পাঁচ উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছি। রাজ্যপালের অভিযোগ সম্পর্কে ওঁদের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছে।”

Previous articleযাদবপুরে মৃ.ত পড়ুয়াকে যৌ.ন হে.নস্থা! অ.ভিযুক্ত ১২ জনের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা দায়ের
Next articleআমেরিকায় ট্রাম্পের সঙ্গে গল্ফ খেললেন ধোনি, দেখলেন আলকারাজের ম‍্যাচও, ভাইরাল মুহূর্ত