বিগত কয়েক বছরে ডুয়ার্সের জঙ্গল চিরে যাওয়া রেলপথে, ট্রেনের ধাক্কায় বহু হাতির মৃত্যু হয়েছে। শিলিগুড়ি জংশন থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন পর্যন্ত মিটার গেজ রেলপথ ২০০৪ সালে ব্রড গেজ হয়েছে। এর পরেই আজ পর্যন্ত ১০০-র কাছাকাছি হাতির মৃত্যু হয়েছে এই ১৬২ কিলোমিটার রেলপথে। এবার ডুয়ার্সের রেলপথে হাতি ও অন্য বন্যপ্রাণীর মৃত্যু ঠেকাতে রেল ও বন দফতর এক গুরুত্বপূর্ণ সমন্বয় বৈঠক করল, আলিপুরদুয়ার ডিআরএম অফিসে। ছিলেন আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম অমরজিৎ গৌতম, পিসিসিএফ ওয়াইল্ড লাইফ উজ্বল ঘোষ-সহ রেল ও বন বিভাগের উচ্চপর্যায়ের আধিকারিকরা।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, শিলিগুড়ির সেবক থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন পর্যন্ত ১৬২ কিলোমিটার রেলপথে যাতে বন্যজন্তু মারা না যায়, তা নিয়েই যৌথ বৈঠক। নতুন প্রযুক্তি ‘ইন্ট্রুশন ডিভাইস সিস্টেম’ (আইডিএস)-এর সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। রেলের দাবি, এর সাহায্যে রেলপথে শুধু বন্যপ্রাণীর মৃত্যু যেমন রোধ করা যাবে, সেই সঙ্গে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত নাশকতা, লাইনে ফাটল, ভূমিধস ও বন্যার জল ঢুকলেও সঙ্গে সঙ্গেই অ্যালার্ট চলে আসবে নিকটবর্তী গেটম্যান, স্টেশন মাস্টার, লোকোপাইলট ও রেলওয়ে কন্ট্রোল রুমে। ফলে এড়ানো যাবে দুর্ঘটনা। রেল সারা দেশে ওই ডিভাইস বসানোর জন্যে ৭৯.১২ কোটি টাকা খরচ করবে।
ইতিমধ্যেই অসমের লামডিং ডিভিশন, আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের নাগরাকাটা থেকে হাসিমারা, ওডিশা ও কর্নাটকে আইডিএস প্রযুক্তি চালু করে ফেলেছে। বন ও রেল মিলিয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটিই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে। রেল কন্ট্রোল রুমে সব সময়ের জন্য একজন বনাধিকারিক থাকবেন। তিনি সমন্বয় সাধন করবেন। রেল ও বন দফতর উভয়েই আশাবাদী, নতুন সিস্টেম ফলপ্রসূ হবে। অবাঞ্ছিত বন্যপ্রাণী মৃত্যুরোধ করা যাবে।
আরও পড়ুন- ধ্বংসস্তূপের নিচে শুধুই লা.শ, মরক্কোয় ভূমিক.ম্পে মৃ.তের সংখ্যা ছাড়াল ১০০০