ইন্ডিয়া জোটকে ভয় বিজেপির! দেশের নাম বদল নিয়ে দিলীপের হু.মকির পাল্টা তো.প কুণালের

ইন্ডিয়া জোট দেখে ভয় পেয়ে এসব করছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ইন্ডিয়া জোটের শক্তি দেখে রীতিমতো ভয় পাচ্ছে। আর সেকারণেই পাগলের প্রলাপ বকছেন দিলীপ।

“ইন্ডিয়া (INDIA) পালটে ভারত হবে, যার পছন্দ হবে না বাইরে চলে যাবে। কোনও বাপের ব্যাটার হিম্মত নেই আটকে রাখবে”। দেশের নাম পরিবর্তন ইস্যুতে এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। রবিবার খড়্গপুরের (Kharagpur) ডিভিসি মার্কেটে এক চা চক্রে যোগ দেন দিলীপ। তিনি আরও বলেন, প্রাচীন ভারতকে দুনিয়ার সামনে তুলে ধরছি। এখানকার তৃণমূলের বন্ধুরা জানেনই না ভারত কী, ইন্ডিয়া কেন বলছে? এর পিছনে ইতিহাস কী? সিপিএমের লোকেদের খুব কষ্ট, যারা চিরদিন বিদেশের তাবেদারি করেছে, আর চামচাগিরি করেছে। দলের পাশাপাশি বর্তমানে দেওয়ালে পিঠ ঠেকার অবস্থা বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের। বিরোধী দলনেতা তথা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) হাতে রাজ্য বিজেপির দায়িত্ব তুলে দেওয়ার পরই দলের অন্দরে কিছুটা হলেও কোণঠাসা দিলীপ। তবে খবরে ভেসে থাকার ইচ্ছে তাঁর বারাবরের। আর সেকারণেই বিতর্কিত মন্তব্য করে ফের সংবাদ শিরোনামে দিলীপ। আর বিজেপি নেতার এমন মন্তব্যে রাজ্য জুড়ে সমালোচনার ঝড়। বিরোধীদের চরম কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে।

দিলীপ এদিন আরও বলেন, বিভিন্ন শহরের নাম পালটাচ্ছে, বিদেশীরা বলতে পারত না, তাই নাম পালটেছিল তারা। সমস্ত নাম পালটাচ্ছে, সব পাল্টে দেব আমরা। কোনও বাপের ব্যাটার হিম্মত নেই আটকে রাখার। ইন্ডিয়া পালটে ভারত হবে, যার পছন্দ হবে না সে বাইরে যাবে। ইন্ডিয়া খুঁজলে জেলে গিয়ে খোঁজো। ভারতে কোনও ইন্ডিয়া থাকবে না, ভারতে ভারত থাকবে। আর দিলীপের এমন মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এদিন কুণাল রীতিমতো ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, ইন্ডিয়া (INDIA) জোটকে ভয় পেয়েছে বিজেপি। আর সেকারণেই এসব প্রলাপ বকছেন দিলীপ। এরপরই ক্ষুব্ধ কুণালের প্রশ্ন এটা কী দিলিপ ঘোষের বাবার দেশ? দিলীপ ঘোষের পরিবার দুয়ারে সরকারের লাইনে দড়িয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করায়। জোর করে এই বিতর্ক করা হচ্ছে। ইন্ডিয়া জোট দেখে ভয় পেয়ে এসব করছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ইন্ডিয়া জোটের শক্তি দেখে রীতিমতো ভয় পাচ্ছে। আর সেকারণেই পাগলের প্রলাপ বকছেন দিলীপ। পাশাপাশি কলকাতার একাধিক জায়গায় বহু ব্রিটিশদের বহু মূর্তি ছিল। একটা-দু’টো এখনও রয়েছে, সব তুলে উপড়ে ফেলব আমরা। এই মন্তব্যের পাল্টা কুণাল ঘোষ জানান, লেনিনকে শ্রমজীবী নেতা হিসাবে মানুষ ভক্তি করেন। তাঁর মতাদর্শের সঙ্গে আমাদের মতপার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু তাঁর মূর্তি থাকবে না এটা হতে পারে না। বাংলা তথা মনীষীদের গায়ে হাত দেবে এটা বরদাস্ত করব না। দিলীপ ঘোষ যা বলছেন তা কুরুচিকর, বাংলায় এসব চলবে না। বিজেপির কোনও ইতিহাস নেই। তাঁরা স্বাধীনতা সংগ্রাম, দেশের স্বার্থে লড়াইতে বিজেপি ছিল না, ছিল না, ছিল না। বিজেপি যাঁদের নেতা বলে মনে করেন তাঁরা ব্রিটিশের তাঁবেদারি করেছেন। ব্রিটিশকে মুচলেকা দিয়ে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ধরিয়ে দিয়েছেন। ব্রিটিশদের হাত শক্ত করেছেন।

অন্যদিকে, দিলীপের মন্তব্যকে পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। তিনি বলেন, ইন্ডিয়া না ভারত সেটা আগে বুঝতে গেলে দেশের সংবিধানকে জানতে ও বুঝতে হয়। তবে যারা এসব বোঝেন না, মানেন না তাঁরাই এরকম মনোভাব নিয়ে চলছেন। এরপরই সুজনের অভিযোগ, বিজেপি ব্রিটিশদের দালালি করেছে, গোলামি করেছে এবং মুচলেকাও দিয়েছে। ভারতবর্ষের ইতিহাসের প্রতি বিজেপি নেতার এই অশ্রদ্ধা এই মনোভাব থেকেই আরএসএস, বিজেপি চলে। আর সেই রীতি মেনে দিলীপ ঘোষও চলছেন। দেশের মানুষ অপেক্ষায় আছেন আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি সঠিক জবাব পাবে।

 

 

 

 

 

 

Previous articleটেসলা কর্তার জীবনীতে বিস্ফো*রক তথ্য, প্রকাশ্যে আরও এক সন্তানের নাম
Next articleপ্রথম ভারতীয় হিসেবে বিশ্ব বামন চ্যাম্পিয়নশিপে সোনার পদক জিতলেন মার্ক