Thursday, August 21, 2025

হাতেকলমে ডাকাতির ‘প্রশিক্ষণ’! ‘সাকসেসফুল অপারেশন’র আগে হয় পরীক্ষাও! গল্প নয় সত্যি

Date:

Share post:

হাতেকলমে ডাকাতির ক্লাস? কী, শুনেই কেমন অবাক লাগছে তাই তো? না না অবাক এখনই হবেন না। পুরোটা জানলে তো আপনি ‘হা’ হয়ে যাবেন। জানেন কী? রীতিমত পোস্টার সেঁটে ডাকাতির ক্লাসের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়? ‘হাতপাকাতে’ ভর্তি হন প্রচুর আগ্রহী ছাত্র। থিওরি পেপার পড়লেই শুধু হয় না, আরে বাবা প্র্যাক্টিক্যালটাল পেপারটাও ভালো করে পড়তে হয়। এবার আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন কাঁরা এসব পড়ান! পোড় খাওয়া অভিজ্ঞ চোর-ছিনতাইবাজ-ডাকাতদলের সর্দাররাই তো শিক্ষক। তাঁরাই নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়ে দিনের পর দিন তৈরি করে চলেছেন ‘এক্সপার্ট’ শিক্ষার্থীদের।পরীক্ষায় উতরোতে না পারলে কিন্তু সার্টিফিকেট পাওয়া যায়না। যে যত ভালো ‘হাতসাফাই’ করতে পারবে, তাকে প্রথম সারির ডাকাত ছাত্রদের মধ্যে রাখা হয়। ঠিক এমনভাবে দিনের পর দিন ডাকাতদের হাতেকলমে ক্লাস করানোর রমরমা ব্যাবসা চলছে বিহারের বিদুপুরে।

আরও পড়ুনঃ মায়ের ওপর নৃ*শংস অত্যাচারের বদলা নিল ছেলে, কু*পিয়ে খু*ন বাবাকে
গোটা বিষয়টি কাল্পনিক মনে হলেও বর্তমানে দিনেদুপুরে ডাকাতির স্কুলের জন্যই ‘কুখ্যাত’ হয়ে উঠছে বিদুপুর। বাংলায় ঘতে যাওয়া একের পর এক ডাকাতির সঙ্গে ইদানিং বিহারের এই বিদুপুরের যোগ উঠে আসছে। সম্প্রতি রানাঘাট ও পুরুলিয়ায় সোনার দোকানের ডাকাতির সঙ্গে বিহারের এই বিদুপুরের যোগ রয়েছে। ঘটনার তদন্ত করতে করতে তদন্তকারী দল বিদুপুরে পৌঁছে সেখানে ডাকাত-স্কুলের খোঁজ পান। ওই স্কুলের ‘প্রিন্সিপাল’ পাপ্পু চৌধুরী। অর্থাৎ ডাকাতদলের সর্দার পাপ্পুর তত্ত্বাবধানেই দীর্ঘদিন ধরে চলছে সেই স্কুল।
পুলিশ জানাচ্ছে, এখানে হাতেনাতে শেখানো হয় ডাকাতির কলাকৌশল। অন্তত ২৫০ জন ছাত্র আছে সেই স্কুলে। প্রথমে থিওরি, তারপর ফুটেজ দেখিয়ে চলে ক্লাস। ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে এই চক্রের। তবে তা সাবস্ত্রাইব করতে পারে এই গ্যাং মেম্বাররাই।
সম্প্রতি, রানাঘাটের একটি সোনার দোকানে ডাকাতির যে ঘটনা ঘটেছে সেই ঘটনায় ধৃত বিদুপুরের বাসিন্দা ছিল। আবার বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লাকে খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিহারের পাটনা স্টেশন রোড এলাকা থেকে সিআইডি যাকে গ্রেফতার করে সেও বিদুপুরের বাসিন্দা।
সূত্রের খবর, বাড়তি রোজগারের টোপ দিয়ে গ্রামের ছেলেদের মগজধোলাই চালায় পাপ্পুর শাগরেদরা। তারপর নিয়ে আসা হয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। এমনকী, ছোটখাট অপরাধ করে কেউ জেলে গেলে টার্গেট করা হয় তাকেও। কীভাবে ডাকাতি করতে হবে, কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে সেসব কৌশল শেখানো হয় স্কুলে। সোনার দোকানে কোথায় ভল্ট রাখা থাকে, ব্যাঙ্কে ডাকাতি করতে হলে তার কৌশল কী, সবই নিখুঁতভাবে শেখায় ডাকাত-শিক্ষকরা। মাস দুয়েক ট্রেনিংয়ের পর প্রথম ব্যাচকে নামানো হয় অপারেশনে। তবে বাইরে বা ভিতরে অস্ত্র নিয়ে পাহারা দেয় তারা। বড় অপারেশনের দায়িত্ব প্রাক্তনীদের উপর।

 

spot_img

Related articles

যোগীরাজ্যের পাঠ্যপুস্তকে বাদ কেন রবীন্দ্রনাথকে? সাংসদ ঋতব্রতর প্রশ্নে অস্বস্তিতে কেন্দ্র

উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কি বাদ দেওয়া হয়েছে? তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নে স্পষ্টতই...

প্রয়াত সিপিএম নেতা-প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া

প্রয়াত সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া। বুধবার এনআরএস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।...

উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে ডাক মেলেনি! শীর্ষ আদালতে শান্তা দত্ত 

স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউ পর্বে ডাক পাননি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত। যোগ্য হয়েও তাঁকে সুযোগ দেওয়া...

১৫ দিনেই রেকর্ড সাফল্য! রাজ্যে সাড়া ফেলল ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি

মাত্র পনেরো দিনেই নজির গড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন কর্মসূচি, ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’। রাজ্যের মানুষের হাতে উন্নয়নের...