টাকা দিলেই মিলবে বিজেপির(BJP) প্রার্থী হওয়ার সুযোগ। কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের(Karnataka Assembly Election) আগে এভাবেই টাকা তুলেছিলেন হিন্দুত্ববাদী নেত্রী চৈত্র কুন্দাপুরা। টিকিট দেওয়ার নামে এভাবে ৫ কোটি টাকা প্রতারণা করার অভিযোগে কুন্দাপুরাকে গ্রেফতার করল বেঙ্গালুরু পুলিশ। হিন্দুবাদী এই নেত্রী একটা সময়ে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ(ABVP) এর কেন্দ্রীয় কর্মসমিতির সদস্য ছিলেন।

বিজেপি প্রার্থী করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যবসায়ী গোবিন্দ বাবু পূজারি নামে এক ব্যক্তিকে প্রতারণা করার অভিযোগে মঙ্গলবার ৩ সহযোগীর সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় চৈত্র কুন্দাপুরাকে। ওই ব্যবসায়ী পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে জানান, চৈত্র এবং তাঁর ৭ সঙ্গী কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে বিজেপির প্রার্থী ৫ কোটি টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছেন। অভিযোগ, ২০২৩ সালের মে মাসে বিধানসভা নির্বাচনে বাইন্দুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এফআইআর অনুসারে, এই ৫ কোটি টাকার লেনদেন ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের মার্চ মাসের মধ্যে হয়েছিল। অভিযোগকারীকে অভিযুক্তরা জানিয়েছিল যে টাকা বিশ্বনাথ নামে একজন আরএসএস নেতার কাছে রাখা আছে। কিন্তু গোবিন্দ পূজারী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন বিশ্বনাথ নামের কোনো আরএসএস নেতার অস্তিত্ব নেই। তখন গোবিন্দ বাবু তার টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দিলে, চৈত্র এবং তার সহযোগী গোবিন্দের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে। এর পরই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান তিনি। এফআইআর-এ আরও বলা হয়েছে যে চৈত্রের তরফে দাবি করা হয়েছিল বিজেপির প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। এবং ৫ কোটির আরও বেশি টাকা দাবি করা হয়েছিল প্রতারকদের তরফে।

উল্লেখ্য, এই চৈত্র কুন্দাপুরা হলেন টেলিভিশনের প্রাক্তন সঞ্চালক এবং আরএসএস-এর ছাত্র শাখা এবিভিপি-র প্রাক্তন নেত্রী৷ তিনি তার উস্কানিমূলক মুসলিম বিরোধী বক্তৃতার জন্য পরিচিত এবং বজরং দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকেন। ২০২১ সালের অক্টোবরে বজরং দল এবং দুর্গা বাহিনী আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেওয়ার জন্য পুলিশ তার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করেছিল। যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, হিন্দু দলগুলি চাইলেই মুসলমানদের ধর্মান্তরিত করতে পারে এবং তাদের সিঁদুরও পরাতে পারে।
