ভারতের স্বাধীনতা ইতিহাসের এক অধ্যায়ের সমাপ্তি, বন্ধ হচ্ছে ইন্ডিয়া ক্লাব

খাওয়া-দাওয়া, আড্ডার পাশাপাশি চলত রাজনীতি, দেশকে স্বাধীন করার পরিকল্পনা নিয়ে মতের আদানপ্রদান- এই সবের সাক্ষী থাকা ক্লাবকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা আজ নতুন নয়।

থেমে যাচ্ছে দীর্ঘ ৭০ বছরের পথ চলা। বন্ধ হচ্ছে লন্ডনের ঐতিহাসিক ‘ইন্ডিয়া ক্লাব’। স্মৃতি আঁকড়ে রইলেন বহু প্রবাসী ভারতীয় ও লন্ডনবাসী। শেষ হতে চলেছে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের গৌরবময় ইতিহাসের (Glorious history of India’s freedom movement) স্মৃতি বিজড়িত এক অধ্যায়। জাতীয়তাবাদী বিপ্লবীদের এক অন্যতম কর্মকাণ্ডস্থল ঐতিহাসিক ইন্ডিয়া ক্লাব (India Club), এবার চিরতরে বন্ধ হতে চলেছে।

রাজনীতি থেকে দেশকে স্বাধীন করার একাধিক মতবিরোধ, সবকিছুর সাক্ষী এই ক্লাব। স্বাধীন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু, পরবর্তীকালে ব্রিটেনে ভারতের প্রথম রাষ্ট্রদূত পদ অলঙ্কৃত করা কৃষ্ণ মেননের নিত্য যাতায়াত ছিল এখানে। ১৯৫১ সালে লন্ডনের স্ট্র্যান্ডে তৈরি হয় এই ইন্ডিয়া ক্লাব (India Club)। যার উদ্যোক্তা ছিল ইন্ডিয়া লিগ নামে ভারতের স্বাধীনতাকামী একটি ব্রিটিশ সংগঠন (British Organization)। আজ, রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বরে সে সবেরই ইতি। আজ ওই রেস্তরাঁ পাকাপাকি বন্ধ হচ্ছে। ইতিহাসের এক অধ্যায়ের যবনিকা পতন।

আরও পড়ুন- ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত হল কবিগুরুর শান্তিনিকেতন, উচ্ছ্বসিত মমতা-অভিষেক

খাওয়া-দাওয়া, আড্ডার পাশাপাশি চলত রাজনীতি, দেশকে স্বাধীন করার পরিকল্পনা নিয়ে মতের আদানপ্রদান- এই সবের সাক্ষী থাকা ক্লাবকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা আজ নতুন নয়। নতুন হোটেল নির্মাণের জন্য এই ক্লাব আংশিক ভেঙে ফেলতে ওয়েস্টমিনস্টার সিটি কাউন্সিলে আবেদন করে রেস্তরাঁর জমির মালিক মারস্টন প্রপার্টিজ। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে জয় হল জমি মালিকের। মারস্টন প্রপার্টিজ তাঁদের নোটিশ দিয়ে জানিয়েছে, ঐতিহাসিক রেস্তরাঁ উঠে গিয়ে হবে অত্যাধুনিক হোটেল। দেওয়ালে এখনও জ্বলজ্বল করছে ভারতের বিভিন্ন জাতীয়তাবাদী নেতার ছবি, প্রবাসে এশিয় রসনা বিলাসের স্বাদ দেওয়া প্রতিষ্ঠান আর থাকছে না।

 

Previous articleসরকারি কাজের ক্ষেত্রে বার্থ সার্টিফিকেটের গুরুত্ব বাড়াল কেন্দ্র!
Next article‘জওয়ান’-কে ঢাল করতে গিয়ে ‘গোল ‘ খেতে হল বিজেপিকেই