নির্ল.জ্জ লোভ! সম্পত্তি ভাগ না হলে আ.গুন পাবেন না জন্মদাতা, দেহে ধরল প.চন

প্রতীকী চিত্র।

সম্পত্তির লোভ যে কত সাঙ্ঘাতিক হতে পারে, তার চরম উদাহরণ পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ২ ব্লকের ভূপতিনগরের বাজকুল গ্রামে। সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিবাদের মধ্যেই মৃত্যু হয় বাবার। এরপরেই চূড়ান্ত অমাবিকতা! সম্পত্তি ভাগ না হলে বাবার দেহ সৎকার হবে না- জানিয়ে দেন ছেলে। ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় বাড়িতেই পড়ে রইল দেহ। অভিযোগ, দেহে পচন ধরতে শুরু করে। পুলিশ (Police) ও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় দেহ সৎকার করা হয়।

কেরোসিন তেলের ডিলার ছিলেন তেজেশ্বর অধিকারী। তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে বর্তমান। প্রায় কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে ৮৫ বছরের বৃদ্ধের। ছোট পুত্রের কাছে থাকতেন বৃদ্ধ তেজেশ্বর। বড় ছেলের কাছে থাকতেন তাঁর স্ত্রী টুনিবালা অধিকারী। অভিযোগ, সম্পত্তি ছোট ছেলের নামেই লিখে দিয়েছিলেন বৃদ্ধ। এর পরেই দুই ছেলের মধ্যে বিবাদ বাধে। এসবের মধ্যে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় তেজেশ্বরের। দেহ সৎকার না করেই সম্পত্তি নিয়ে কাজিয়া করতে বসেন দুই ভাই। বাড়িতে পড়ে থেকে দেহে পচন ধরে।

ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। যায় পুলিশ (Police)। তাদের উদ্যোগেই দেহ সৎকার হয়। সম্পতত্তি নিয়ে এই নির্লজ্জ আকচাআকচিতে তাজ্জব পড়শিরা। যদিও সম্পত্তি বিবাদ মানতে নারাজ বৃদ্ধের বড় ছেলে দীপক অধিকারী। তাঁর দাবি, পারিবারিক সমস্যার কারণে অন্য সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। সবাই না এলে সৎকার করা যাচ্ছিল না।

আরও পড়ুন: কুন্তলের চিঠি মামলায় কলকাতা পুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

কিন্তু সেই কথা মানতে নারাজ টুনিবালা অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, বড় ছেলে বলে, আগে সম্পত্তির ফয়সালা হোক। দেহ পরে সৎকার হবে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন সবাই।