বারবার তার চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে দেশ জুড়ে সমালোচনার পর কোনও উত্তরাধিকারীর নাম ঘোষণা ছাড়াই ইডি অধিকর্তা পদে মেয়াদ শেষ করলেন সঞ্জয় মিশ্র। কিছুদিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, ১৫ সেপ্টেম্বরের পর আর তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাবে না। সাধারণভাবে কোনও অধিকর্তার মেয়াদ শেষের আগেই পরবর্তী পদাধিকারীর নাম ঘোষণা করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত ইডি অধিকর্তার নাম ঘোষণা না হওয়ায় জল্পনা তৈরি হয়েছে। সঞ্জয় মিশ্রের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাঁকেই আবার প্রথম চিফ ইনভেস্টিগেশন অফিসার পদে নিয়োগ করা হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দাবি করা হয়, রাষ্ট্রপুঞ্জের ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের বিষয়ে কাজ করছেন সঞ্জয় মিশ্র। সেই কারণে তাঁকে বহাল রাখা প্রয়োজন। যদিও সেই যুক্তি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স আইন অনুযায়ী নিয়োগ করা হয় ইডি অধিকর্তাকে। ইডি অধিকর্তার নামের সুপারিশ করে দুজন ভিজিল্যান্স কমিশনার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সচিব পর্যায়ের আধিকারিক, অর্থ ও কর্মিবর্গ মন্ত্রকের সচিব পর্যায়ের আধিকারিকদের নিয়ে তৈরি করা প্যানেল। এই প্যানেলের চেয়ারপার্সন মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনার। তবে সঞ্জয় মিশ্রের পরবর্তী ইডি অধিকর্তার নামের তালিকা এখনও চূড়ান্ত করা হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে এসবের মধ্যেই সপ্তাহ কয়েক আগেই কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ইডি, সিবিআইয়ের মতো তদন্তকারী সংস্থার শীর্ষ বসানো হবে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফের মতো এক আধিকারিককে। অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থার প্রধান তাঁকে রিপোর্ট করবেন।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলের মতে, “সঞ্জয় মিশ্রের ইডি অধিকর্তা পদে চাকরির শেষদিন। অবৈধভাবে বারবার তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। মোদি সরকার চিফ ইনভেস্টিগেশন অফিসার পদ তৈরি করতে চলেছে। তাঁকে রিপোর্ট করবেন ইডি, সিবিআই অধিকর্তা। ” সাকেতের বক্তব্য, “সঞ্জয় মিশ্রকে প্রথম চিফ ইনভেস্টিগেশন অফিসার পদে নিয়োগ করতে কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ অধিবেশনে বিল আনতে অবাক হওয়ার থাকবে না।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সেনা প্রধান পদে অবসরের পর প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ পদে প্রথম নিয়োগ করা হয়েছিল জেনারেল বিপিন রাওয়াতকে।

আরও পড়ুন- ভার্চুয়াল শুনানির ভবিষ্যৎ কী? হাইকোর্ট-ট্রাইব্যুনালের কাছে রিপোর্ট তলব শীর্ষ আদালতের
