রিয়াল মাদ্রিদে মুগ্ধ মমতা-সৌরভ, বাংলায় ফিরেই কাজ শুরুর বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

 


কুণাল ঘোষ
মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী

মাদ্রিদ: ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে আন্তর্জাতিক ফুটবল ময়দানের নানা পর্যায়। ঐতিহাসিক যাত্রাপথে সাফল্যের প্রতিটি স্বাক্ষর সাজানো রয়েছে থরে থরে। ফুটবল ময়দানে রোনাল্ডো, জিদান, বেঞ্জিমাদের ঐতিহাসিক সব মুহূর্তের ছবি। যে দিকে চোখ যায় সারি সারি ট্রফি। এ যেন এক আলাদা পৃথিবী। মুগ্ধ বিস্ময়ে যেখানে ১২১ বছরের ঐতিহ্যশালী ফুটবল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ‘প্রিন্স অফ ক্যালকাটা’ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। শনিবারের এই কর্মসূচিতে রিয়াল মাদ্রিদ ক্লাব ও স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে মুখ্যমন্ত্রীর স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া: অসাধারণ অভিজ্ঞতা হল। কীভাবে বাংলার ফুটবল স্টেডিয়ামগুলিকে এরকম বিশ্বমানের ও অত্যাধুনিক করা যায় তা খুঁটিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী ও সৌরভ। মমতার বার্তা: রাজ্যে ফিরেই অত্যাধুনিক ফুটবল স্টেডিয়াম তৈরির কাজ দ্রুত শুরু করতে চাই।

ভারতীয় সময় বিকেল নাগাদ হোটেল থেকে বাসে চড়ে ১২১ বছরের ঐতিহাসিক ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের উদ্দেশে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের আধিকারিক ও অন্যান্য প্রতিনিধিরা। ক্লাবে পৌঁছনোর পর মুখ্যমন্ত্রীকে গোটা ক্লাব ঘুরিয়ে দেখান সেখানকার প্রতিনিধি। ঐতিহাসিক এই ক্লাবের উত্থান থেকে শুরু করে একের পর এক সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরা হয়। থরে থরে সাজানো ট্রফি ও তার বর্ণময় ইতিহাস অভিভূত করার মতো। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে উপস্থিত হন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর দেখানো হয় অত্যাধুনিক রিয়াল মাদ্রিদ স্টেডিয়ামের রেপ্লিকা। স্টেডিয়ামের অন্যতম বিশেষত্ব হল, আবহাওয়া অনুযায়ী যান্ত্রিক উপায়ে স্টেডিয়ামের ছাদ ঢাকা এবং বন্ধ করা যায়। যাতে বৃষ্টির জেরে খেলায় সমস্যা তৈরি না হয়। মুখ্যমন্ত্রী খুঁটিয়ে দেখেন আধুনিক স্টেডিয়াম ও খেলার পরিকাঠামো। সবকিছু ঘুরে দেখার পর সৌরভকে সঙ্গে নিয়ে মাঠের গ্যালারিতে বসে মাঠ পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলার রক্তে মিশে রয়েছে ফুটবল। আমাদের একটি বড় স্টেডিয়াম রয়েছে। আমাদের সঙ্গে ওদের চুক্তিও হয়েছে ফুটবল অ্যাকাডেমি করার। বাংলায় নতুন অ্যাকাডেমি হবে। আমরা জায়গা দেখছি। কলকাতা ফিরে যত দ্রুত সম্ভব আমরা কাজ শুরু করতে চাই। বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবল ক্লাব-চত্বরে দাঁড়িয়ে তখন দৃশ্যতই আপ্লুত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Previous articleবু.লেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল না কেন? কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলে প্রশ্ন অনন্তনাগের শহিদের মায়ের
Next articleম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সাক্ষীদের বয়ান গ্রহণ! মণিপুর হিং.সা মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ শীর্ষ আদালতের