ফের রাজ্যে ডে.ঙ্গিতে বলি ২ আক্রান্তের

বর্ষার মরসুম আসতেই চোখরাঙাচ্ছে ডেঙ্গি। রাজ্যে একের পর এক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হচ্ছে। সোমবারও রাজ্যে দু’জনের মারা যাওয়ার খবর মিলেছে। তাঁদের একজন কলেজপড়ুয়া, অন্য জন গৃহবধূ। যদিও এ বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এখনও কোনও তথ্য মেলেনি।বেসরকারি সূত্রের খবর, চলতি মরসুমে গত জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন ৩৩ জন।

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে ডেঙ্গির ভয়াবহতা বাড়ছে , একদিনে আরও ১৭ জনের মৃ.ত্যু
জানা যাচ্ছে, সোমবার রাতে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ভাঙড়-২ ব্লকের কাটাডাঙা গ্রামের বাসিন্দা, বছর ৩৩-এর মানোয়ারা বিবির। গত ১৬ সেপ্টেম্বর জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গ থাকায় তাঁকে জিরেনগাছা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরদিন ওই গৃহবধূকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেন জিরেনগাছা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও পরিবারের লোকেরা তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, প্রথমে সাধারণ ওয়ার্ডে রাখা হলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মানোয়ারাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মারা যান তিনি। ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গি শক সিনড্রোম, বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে মৃত্যুর উল্লেখ রয়েছে।

অন্য দিকে, সোমবারই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক কলেজছাত্রীর। তাঁর নাম সুস্মিতা মণ্ডল (২১)। ওই রাতে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর রানাঘাটের তারাপুর লাগোয়া শান্তিপুরের পুলতা গ্রামের বাসিন্দা সুস্মিতা জ্বরে আক্রান্ত হন। ১৫ সেপ্টেম্বর তাঁকে হবিবপুর যাদব দত্ত গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পরিবারের সদস্যেরা সুস্মিতাকে রানাঘাটের আঁইশতলার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করেন। সেখানে ডেঙ্গি পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। সোমবার দুপুর থেকে সুস্মিতার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরিবারের অভিযোগ, ওই দিন দুপুর ২টো নাগাদ নার্সিংহোমের চিকিৎসক অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বললেও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ রোগীকে ছাড়তে পাঁচ ঘণ্টা সময় নেন।

রানাঘাট মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে আটটা নাগাদ হাসপাতালে ভর্তি হন সুস্মিতা। তখন থেকেই তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল বলে দাবি। রাতেই তাঁকে এইচডিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ মারা যান ওই ছাত্রী। সুস্মিতার আত্মীয় শুভেন্দু বিশ্বাসের অভিযোগ, ‘‘নার্সিংহোমের অসহযোগিতার কারণেই সুস্মিতার মৃত্যু হয়েছে। ওকে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো দুপুরেই সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে হয়তো বাঁচানো যেত।’’

Previous articleদেশে আসতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত ডে.ঙ্গির টিকা! শীঘ্রই শুরু হবে ট্রায়াল
Next articleসাগরে ফের নিম্নচাপ!সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে বৃষ্টি