দিলীপের ঘর ভাঙা নিয়ে নব্য বিজেপি নেতৃত্বকে খোঁচা কুণালের

আমাদের আবর্জনাগুলো ওদের দলে গিয়ে দল দখল করে দিলীপবাবুদের বের করে দেবে এটা হয় না

বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পাশে দাঁড়িয়ে ‘ইঙ্গিতপূর্ণ’ বার্তা দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক  কুণাল ঘোষ।
সম্প্রতি মুরলীধর সেন লেনের বিজেপি পার্টি অফিসে দিলীপ ঘোষের বসার একটি ঘর ভাঙা হচ্ছে। এসি মেশিনও খুলে ফেলা হয় সে ঘরের। সোমবার এ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কুণাল ঘোষ বলেন, “দিলীপ ঘোষের সঙ্গে আমাদের মতে মেলে না। উনি যে ভাষা ব্যবহার করেন তা আমরা সমর্থন করি না। কিন্তু এটাও তো ঘটনা দিলীপবাবু বিজেপির একজন সিনিয়র নেতা। দিলীপবাবু আমাদের রাজনৈতিক বিরোধী। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের একজন প্রভাবশালী নেতা। তা বলে একজন নেতার ঘর ভেঙে দেওয়া হবে, তাঁকে অপমান করা হবে? রাজনীতিতে এ ধরনের জিনিসগুলি ঠিক নয়। তিনি তাঁর দলে সসম্মানে থাকবেন।  দিলীপবাবুকে তাঁর দল এভাবে অসম্মান করবে, ঘর ভেঙে দেবে, এগুলো সুস্থ রাজনীতিতে হতে পারে না। আমাদের দল থেকে কিছু আবর্জনা গিয়ে ওদের দল দখল করে ওদের পুরনো নেতাদের এভাবে উচ্ছেদ করবে এটা রাজনীতিতে ঠিক নয়।”এদিন কুণাল আরও বলেন, “দিলীপবাবু তো পুরনো নেতা, সিনিয়র নেতা। ওঁর নেতৃত্বে রাজ্য বিজেপি চলেছে। কিছু আসনও পেয়েছে এক সময়। সে অর্থে দেখতে গেলে, ভদ্রলোক দু’বার ভোটে দাঁড়িয়েছেন, জিতেওছেন। বিজেপিতে এরকম নজিরও নেই। দল বদলেও আসেননি। আমাদের দল থেকে কিছু লোক গিয়ে ওঁকে সরিয়ে দিচ্ছেন। কাগজে পড়লাম ঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে, এসির লাইন কেটে দিয়েছে। আমাদের দলে থেকেও তারা নোংরামো করেছে। তাদের আরও চাই, আরও খাব। এখন বিজেপিতে গিয়ে এসব করছে। আমাদের আবর্জনাগুলো ওদের দলে গিয়ে দল দখল করে দিলীপবাবুদের বের করে দেবে এটা হয় না।”

কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপির পুরনো নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূলের ১০০ ভাগ লড়াই আছে। কিন্তু তৃণমূল থেকে যাওয়া, এদিক ওদিক থেকে যাওয়া কিছু অতৃপ্ত আত্মা যেভাবে বিজেপিটা দখল করে নিয়েছে। আদি বিজেপি, পুরনো বিজেপি তা সহ্য করতে পারছে না। তারা ওখানে নিগৃহীত, অত্যাচারিত। দলবদলুরা গিয়ে ওখানে দল দখল করেছে। তাই পুরনো বিজেপিরা ভাল নেই। তারা নতুন করে ভাবছে কী করবে। আত্মসম্মান নিয়ে দল করতে পারছে না।”

 

Previous articleএকাধিক সুযোগ নষ্ট, জামশেদপুর এফসির সঙ্গে গোলশূন‍্য ড্র লাল-হলুদের
Next articleভারতের আবহাওয়ায় একেবারেই নির্ভরযোগ্য নয় আধার! মুডিজের রিপোর্টে চাঞ্চ.ল্যকর তথ্য