একাধিক সুযোগ নষ্ট, জামশেদপুর এফসির সঙ্গে গোলশূন‍্য ড্র লাল-হলুদের

ডানদিক থেকে কাট করে বেরোন নন্দকুমার। বল পান সৌভিক। বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে শট সৌভিকের। তেকাঠির ধারেকাছেও ছিল না।

ছবি : দেবস্মিত মুখোপাধ্যায়

আইএসএল-এর প্রথম ম‍্যাচেই আটকে গেল ইস্টবেঙ্গল এফসি। এদিন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে জামশেদপুর এফসির সঙ্গে গোলশূন‍্য ড্র করল কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল। ভালো খেলেও গোলের দর্শন পেল না লাল-হলুদ। এদিন নিশ্চিত দু’পয়েন্ট মাঠে ফেলে এল কুয়াদ্রাতের দল।

ম‍্যাচে এদিন প্রথম থেকেই আক্রমণ ঝাঁপায় কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল। প্রথমার্ধে সব করে লাল-হলুদ, শুধু গোলটা বাদ দিয়ে। ম‍্যাচের ২২ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন সৌভিক। ডানদিক থেকে কাট করে বেরোন নন্দকুমার। বল পান সৌভিক। বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে শট সৌভিকের। তেকাঠির ধারেকাছেও ছিল না। হতাশাজনক শট করেন লাল-হলুদ ফুটবলার। এরপর ম‍্যাচের ৩৩ মিনিটে ভালো কাউন্টার-অ্যাটাক। সিভেরিওকে পাস বোরহার। বাঁ-দিকে বল দেন সিভেরিও। যেখানে ওভারল্যাপ করে উঠে আসেন মন্দার রাও দেশাই। সতীর্থকে পাস দেওয়ার চেষ্টা মন্দারের। তবে কোনও বিপদ হল না জামশেদপুরের। ম‍্যাচের ৩৮ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট। বাঁ-দিক থেকে নন্দকুমারের থ্রু। বোরহা বল পেয়েই বক্সের মধ্যে সিভেরিওকে পাস দেন। ক্লিপ করলেই গোল ছিল। কিন্তু ঠিকমতো পারলেন না। রেহনেশ গোল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। প্রথমার্ধে একের পর এক আক্রমণ চালায়। তবে গোলের দরজা খুলতে ব‍্যর্থ হয় লাল-হলুদ।

 

ম‍্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও চলে আক্রমণ প্রতি আক্রমণের লড়াই। তবে এরই মধ‍্যে পেনাল্টির দাবি করে লাল-হলুদ। ম‍্যাচের ৪৮ মিনিটে বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল প্রতীকের। ফ্রি-কিক থেকে পারদো বক্সে বল পাঠান। ডানপ্রান্তে ক্রেসপোকে লক্ষ্য করে বল ছিল। কিন্তু তার আগেই প্রতীক বল ক্লিয়ার করে দেন। হ্যান্ডবলের দাবি ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু পেনাল্টি দেননি রেফারি। এরই মধ‍্যে আক্রমণে জাঁপায় জামশেদপুর। ম‍্যাচের ৫০ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল বক্সের মধ্যে অনেকটা জায়গা পান অ্যালেন স্টেভানোভিচ। ‘পুল দ্য ট্রিগার’-র জন্য সময় ছিল, জায়গাও ছিল। তবে শট নেননি জামশেদপুর অধিনায়ক। ম‍্যাচের ৫৫ মিনিটে ভালো আক্রমণ ইস্টবেঙ্গলের। তবে কাজের কাজ হলো না। ম‍্যাচের ৫৯ মিনিটে ‘ডবল চেঞ্জ’ ইস্টবেঙ্গলের। মাঠে নামেন ক্লেইটন সিলভা। তুলে নেওয়া হল বোরহাকে। আর সৌভিক চক্রবর্তীকে তুলে মহম্মদ রাকিপকে নামান কার্লোস কুয়াদ্রাত। ম‍্যাচের ৮১ মিনিটে ফ্রি-কিক ক্লেইটনের। বাঁক খেয়ে গোলে রাখার চেষ্টা। তবে শট ব্লক হয়ে যায়। অনেকটা দূর থেকে বলটা সামনে এগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা পারদোর। না শট ছিল, না পাস। সহজে ধরে নেন রেহনেশ। এরপর আক্রমণে গেলেও গোলের দরজা খুলতে পারেনি লাল-হলুদ।

আরও পড়ুন:মেসির অভিযোগ উড়িয়ে দিল পিএসজি, পাল্টা দিলেন ক্লাবের চেয়ারম্যান

Previous articleশান্তিনিকেতনে মেডিকেল কলেজের হস্টেলে ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃ.ত্যু! তদন্তের দাবি পরিবারের
Next articleদিলীপের ঘর ভাঙা নিয়ে নব্য বিজেপি নেতৃত্বকে খোঁচা কুণালের