কাঁকসায় ২০০  বছর ধরে “ পাতি মা”-র শুধু মস্তক পুজো হয় ধুমধাম করে

২০০ বছরের বেশি সময় ধরেই চলে আসছে এই পাতি মা এর পুজোর এই রীতি ।

অনির্বাণ কর্মকার:  এলাকার বাসিন্দারা তাকে “পাতি মা” বলেই ডাকেন। ধুমধাম করেই পুজো হয় ।কাঁকসার গোপালপুরের পশ্চিম পাড়ায় মন্ডল, দে আর দত্ত পরিবারের “ পাতি মা”। পাতি মা সপরিবারে আসেন তো নাই, তিনি শরীর নিয়েও আসেন না । তার মস্তক পুজো হয় চারদিন ধরে । ২০০ বছরের বেশি সময় ধরেই চলে আসছে এই পাতি মা এর পুজোর এই রীতি ।

কিন্তু কেন এই মস্তক পুজো? আর কে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন? তার কোনও সঠিক তথ্য নেই । বিষয়টি নিয়ে নানান মত আছে। একটি মতে দেবী দুর্গা স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন প্রতিমা গড়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মন্দিরের দরজা খোলা যাবে না । কিন্তু ধৈর্য্য না রাখতে পেরে মন্দিরের দরজা খোলা হয় আর দেখা যায় দেবীর মস্তক রয়েছে আর কিছুই নেই । আবার কারও কারও মতে মাটির তৈরি মন্দির ছিল । মন্দিরে দেবীর প্রতিমা তৈরি সম্পুর্ণ হয়ে গিয়েছে । পুজো প্রায় দিন কয়েক বাকি । সেই সময় প্রবল বর্ষণে মন্দির ভেঙে যায় এবং দেবীর মস্তকটি শুধু রক্ষা পায় ।

এরপরই, কিভাবে পুজো হবে এবং পুজো না করলে অমঙ্গল হবে এই আশঙ্কায় গোটা পরিবার চিন্তায় পড়ে যান । দেবী পরিবারের কর্তাকে স্বপ্নাদেশ দেন মস্তক পুজো করতে এবং তিনি এভাবেই পুজো নেবেন । সেই থেকেই ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে  চলে আসছে মন্ডল , দত্ত এবং দে পরিবারের ‘পাতি মা’-র পুজো । চারদিন ধরেই পুজো চলে ধুমধাম করে । তবে পাতি মার নিরঞ্জন রাতে হয় না , দশমীর দিনে নবপত্রিকা নিরঞ্জনের সময় দেবীর মস্তক নিরঞ্জন হয় ।