আ.দিবাসী মিছিলে মহানগরীর রাজপথে যানজট! নাকাল যাত্রীরা

সপ্তাহের শেষ কাজের দিন আজ। কিন্তু আদিবাসী সংগঠনের মিছিলের জেরে সকালের দিকে হাওড়া সেতুতে কার্যত স্তব্ধ যান চলাচল হয়ে যায়। যদিও বেলা গড়ালেও যানজট এখনও লেগেই রয়েছে। বরং আটকে পড়া গাড়ির স্রোত কার্যত অবরুদ্ধ করে দিল গোটা মধ্য কলকাতাকে। আদিবাসীদের দীর্ঘ মিছিল যত ধর্মতলার দিকে এগোতে থাকে, ততই যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায় মধ্য কলকাতার গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, চাঁদনি চক এলাকায়। প্রায় একই পরিস্থিতি উত্তর কলকাতার বিডন স্ট্রিটেও।

আরও পড়ুনঃ বিশ্ব আদিবাসী দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেকের
কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে সকাল ১১টা নাগাদ এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে জানানো হয়, মিছিলের জেরে অবরুদ্ধ ধর্মতলা ক্রসিং, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, লেনিন সরণী, জহরলাল নেহরু রোড, রেড রোড, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, মেয়ো রোড, ডোরিনা ক্রসিং, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ, সিআর অ্যাভিনিউ, এসএন ব্যানার্জি রোড, হাওড়া সেতু, মহাত্মা গান্ধী রোড, স্ট্র্যান্ড রোড, পার্ক স্ট্রিট।
শুক্রবার সকাল ৯টা নাগাদ আচমকাই হাওড়া সেতুতে শুরু হয় অবরোধ। রাস্তার উপর পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধিদের।হাওড়া সেতুর দুই প্রান্ত ধরে মিছিল এগোয় কলকাতার ব্রেবোর্ন রোডের দিকে। মিছিলের গন্তব্য রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ। সেখানেই আদিবাসী সংগঠনটির তরফে একটি জনসভার আয়োজন করা হয়েছে।এদিকে এই ঘটনায় গন্তব্যে পৌঁছতে নাকাল হতে হয় অফিসযাত্রীদের। অনেকে পায়ে হেঁটেই অফিসে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন। নিত্যযাত্রীদের এক জনের কথায়, ‘‘কী কারণে এই মিছিল, আমরা জানি না। কিন্তু কাজের সময়ে এ ভাবে হয়রানি হতে হলে খুব মুশকিল।’
বেশ কিছুদিন ধরে তফশিলি জনজাতির তকমার দাবিতে সোচ্চার কুড়মি-মাহাতোরা। এরই প্রতিবাদে সামিল একাধিক আদিবাসী সংগঠন। শুক্রবার রানি রাসমণি রোডে একটি সভা রয়েছে আদিবাসীদের। তাতে যোগ দিতেই এদিন সকালে বিভিন্ন জেলা থেকে দলে দলে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছন আদিবাসীরা। হাওড়া স্টেশন থেকে মিছিল করে হাওড়া সেতু ধরে রানি রাসমণি রোডের উদ্দেশে রওনা হন তাঁরা। আর এই মিছিলের জেরে সাতসকালে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে হাওড়া সেতু। বন্ধ হয়ে যায় স্ট্র্যান্ড রোডমুখী রাস্তা।