কেন্দ্রের ব.ঞ্চনায় দু.র্ঘটনা! বাঁকুড়ার শোকা.র্ত পরিবারকে নিয়ে দিল্লির পথে তৃণমূল

রবিবার সকালেই তিন শিশুর পরিবারের সঙ্গে বাঁকুড়ার বোড়ামারা গ্রামে গিয়ে দেখা করেন শান্তনু সেন ও সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের পরিবারের অভিযোগ শোনার পাশাপাশি সদস্যদের দিল্লি যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

কেন্দ্রীয় আবাস যোজনায় (Awas Yojna) নাম থাকলেও মেলেনি কোনও সুযোগসুবিধা। আর কেন্দ্র সেই প্রকল্পের টাকা জোর করে আটকে রাখার কারণেই বাড়িও আর পাকা হয়ে ওঠেনি। এদিকে, রাজ্যে লাগাতার বৃষ্টির কারণে একের পর এক কাঁচা বাড়ির দেওয়াল ধসে প্রাণ যাচ্ছে একাধিক মানুষের। বাঁকুড়ার (Bankura) পর এবার পুরুলিয়ায় (Purulia) দেওয়াল ধসে প্রাণ গেল এক শিশুর। এই নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেওয়াল চাপা পড়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪ জন শিশু ও এক মহিলা রয়েছেন। আর এদের সবাইয়ের পরিবারের মোদি সরকারের আবাস তালিকায় নাম ছিল। কিন্তু মোদি সরকার সেই টাকা আটকে রাখার কারণেই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। এবার সেই বঞ্চিত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াল তৃণমূল কংগ্রেস। বাঁকুড়ায় মৃত তিন শিশুর পরিবারকে দিল্লি নিয়ে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে (Delhi) প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল করা হবে সন্তানহারা অভিভাবকদের। এদিকে রবিবারই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি বাংলায় হেরে গেছে বলে রাজ্যের মানুষদের উপর এভাবে প্রতিশোধ নিচ্ছে। নিষ্পাপ শিশুদের মৃত্যুর দায় মোদি, গিরিরাজ সিং ও বাংলার কিছু নেতাদের নিতে হবে বলে আক্রমণ শানান। পাশাপাশি অভিষেকের দাবি, এই ঘটনার জন্য কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংকে গ্রেফতার করতে হবে।

 

যদিও, শোকার্ত পরিবারের অভিযোগ, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে দিল্লি যাচ্ছেন প্রতিবাদ জানাতে। এতে তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁদের সবদিক থেকে সহযোগিতা করেছে। রবিবার সকালেই তিন শিশুর পরিবারের সঙ্গে বাঁকুড়ার বোড়ামারা গ্রামে গিয়ে দেখা করেন শান্তনু সেন ও সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের পরিবারের অভিযোগ শোনার পাশাপাশি সদস্যদের দিল্লি যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। পরে তিন পরিবারের পাঁচজন সদস্যকে নিয়ে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মাঝপথে একজন ফিরে আসেন বাড়িতে। সূত্রের খবর, তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মৃত শিশু নিশা সর্দার, রোহন সর্দার, অঙ্কুশ সর্দারের বাবারা। তাঁরা হলেন প্রশান্ত সর্দার, জয়দেব সর্দার ও চণ্ডি সর্দার। এছড়াও নিশার কাকা শক্ত সর্দারও রাজধানীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

তবে ঘটনার দায় পুরোপুরি কেন্দ্রীয় সরকারের কাঁধে চাপিয়ে শান্তনু সেন ও সায়ন্তিকা জানান, কাউকে জোর করে নয়, ওনারা নিজেরাই দিল্লির আন্দোলনে সামিল হয়ে এ রাজ্যের প্রতি বঞ্চনার প্রতিবাদ জানাতে চেয়েছেন। সাংসদ শান্তনু সেন জানান, ১১ লক্ষ লোকের বাড়ির জন্য পোর্টালে আপলোড করা হয়েছিল। শুধুমাত্র প্রতিহিংসার কারণে এই মানুষগুলোর প্রথম কিস্তি ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে। আমরা মৃতদের পরিবারের পাশে রয়েছি। তৃণমূল নেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আমরা আমাদের সঙ্গে কাউকে কোথাও নিয়ে যাচ্ছি না। তাঁরা তাঁদের কষ্টের কথা জানাতে দিল্লি যেতে চাইছেন। আমরা তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করছি।