বিপাকে পড়ে নিজেদের পাপ ঢাকতে দিল্লিতে পাল্টা আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। গরিবের মানুষের টাকা আটকে রাখার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র প্রকাশ্যে চলে আসার পর রাজ্যের বিজেপি নেতাদের উপর রীতিমতো ক্ষুব্ধ খেটে খাওয়া মানুষ। এই অবস্থায় লজ্জার মাথা খেয়ে পাল্টা আন্দোলনে নেমে ভাবমূর্তি ঠিক করতে মরিয়া বিজেপি। যার জেরেই কেন্দ্রীয় বিজেপির তরফে তলব করা হল রাজ্য বিজেপির সকল সাংসদকে।

১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা সহ একাধিক ক্ষেত্রে বাংলার সাধারণ গরিব মানুষের টাকা বিজেপি নেতাদের ষড়যন্ত্রে আটকে রেখেছে কেন্দ্র। রাজ্য বিজেপি নেতারা বুক ফুলিয়ে প্রকাশ্যে দাবি করেছেন তাঁদের জন্যই আটকে টাকা। স্বভাবিকভাবেই বিজেপির উপর ক্ষেপে উঠেছে জনতা। একের পর এক মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে চলেছে টাকা আটকে রাখার জেরে। তৃণমূলের তীব্র প্রতিবাদের সামনে মুখরক্ষা করতে এবার দিল্লিতে লোক দেখানো কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি। সূত্রের খবর, চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসহ বিজেপির সমস্ত সাংসদকে দিল্লিতে তলব কেন্দ্রীয় বিজেপির তরফে। আসতে বলা হয়েছে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও। আরও জানা যাচ্ছে, আগামিকাল পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বিজেপি নেতারা। সব মিলিয়ে তৃণমূলের পাল্টা বিজেপিও লোক দেখানো ধর্না কর্মসূচি করতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।


এদিকে বকেয়া আদায়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আগামী ২ অক্টোবর থেকে জোরদার আন্দোলনে নামতে চলেছে তৃণমূল। অবশ্য তৃণমূলকে আটকাতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি করেনি বিজেপি। রেল, বিমান বাতিল থেকে শুরু করে সভা করারও অনুমতি দেয়নি দিল্লিতে শাহের পুলিশ। যদিও বিজেপির তরফে আটকানোর সবরকম প্রচেষ্টাকে ফুঁৎকারে উড়িয়ে অভিষেক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ১ হাজারটা মোদি এলেও আমাদের আন্দোলন রুখতে পারবে না। যতদিন না প্রাপ্য টাকা ফেরত আসছে ততদিন চলবে আন্দোলন।
