আজ যন্তরমন্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি.বাদ সভা

বাংলার বকেয়া আদায়ে সোমবার দিল্লির রাজঘাটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ অবস্থান সত্যাগ্রহে পুলিশের হামলার নিন্দায় সরব গোটা দেশ। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দু’ঘণ্টার সত্যাগ্রহ করতে গিয়ে বিজেপির নির্দেশে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের যেভাবে দিল্লি পুলিশ হেনস্তা করেছে তাতে দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের অনেকেই এই ঘটনার পরে নিন্দায় সরব হয়েছে। বাংলার হক আদায়ের এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে যেভাবে লাঠি উঁচিয়ে পুলিশ তেড়ে গিয়েছে, মহিলা সাংসদদেরও রেয়াত করা হয়নি । এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে দমানোর জন্য বিজেপি যেভাবে আক্রমণ করছে তা রীতিমত ভয়ঙ্কর। সোমবার রাজঘাটের ঘটনার পর নর্থ অ্যাভিনিউয়ে দলের জনা পনেরো সাংসদ-মন্ত্রীদের নিয়ে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে বিকেল সাড়ে চারটেয় বৈঠকে বসেন অভিষেক। সেখানেই চূড়ান্ত হয়, আজ, মঙ্গলবার যন্তরমন্তরে বাংলা থেকে বাসে করে যাওয়া জব কার্ড হোল্ডারদের নিয়ে প্রতিবাদ সভা হবে বেলা ১টা থেকে। এরপর বিকেল সাড়ে ৫টায় সেখান থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল যাবে কৃষি ভবনে কৃষি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে।

আরও পড়ুনঃ বঞ্চিতদের আঁচ.ড় কাটলে ফল ভুগতে হবে: প্রশ্ন তুলে অভিষেকের চ্যালেঞ্জ মণিপুরে বাহিনী কোথায়!
এদিন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেন, প্রথমে আমাদের একরকম সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আচমকা সোমবার বিকেলে গিরিরাজ সিংয়ের দফতর থেকে মেল করে জানানো হয়েছে মন্ত্রী থাকতে পারবেন না। তার বদলে থাকবেন প্রতিমন্ত্রী। সময় পরিবর্তন করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় করা হয়েছে। রাজঘাটে পুলিশের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে আবারও অভিষেক বলেন, শান্তির পীঠস্থান রাজঘাটে প্রথম থেকে যখন বসেছিলাম সেখানে, সারাক্ষণ ৫ মিনিট অন্তর এসে উঠে হবে, উঠতে হবে! কারও নামে জয়ধ্বনি দেওয়া তো দূরের কথা, একটি রাজনৈতিক স্লোগান পর্যন্ত দিইনি। মহিলাদের উপর লাঠিচার্জ করা সেগুলি সব ক্যামেরায় বন্দি হয়েছে। ছবি তো মিথ্যা কথা বলে না। মানুষকে মানুষ বলে মনে করেনি দিল্লি পুলিশ। দুর্ব্যবহার করার পর ইন্টারনেটও বন্ধ করে দিয়েছিল, যাতে সেখানকার ছবি বাইরে না আসে– অভিযোগ অভিষেকের। এরপরেই তাঁর হুঁশিয়ারি, বিজেপিকে আবার চ্যালেঞ্জ করছি। মঙ্গলবার যদি একটা সাধারণ মানুষের গায়ে আঁচড় পড়ে, তা হলে ফল ভোগ করতে হবে। অভিষেকের কথায়, তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের মারুন, মেনে নেব। কিন্তু সাধারণ মানুষ-জব কার্ড হোল্ডারদের গায়ে হাত পড়লে মেনে নেব না।
এমনকী আজ যন্তরমন্তরে তৃণমূলের কর্মসূচি বানচালের জন্য বিজেপি যে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করতে পারে-গন্ডগোল পাকাতে পারে, সে আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Previous articleBreakfast sports: ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleআজ পেট্রোল-ডিজেলের দাম একনজরে