অভিষেকের ধর্নায় ভ.য় বিজেপির, রাজনৈতিক পরিকল্পনায় এজেন্সির ব্যবহার কটা.ক্ষ কুণালের 

রাজ্যের শাসকদল মনে করছে, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজভবনের সামনে ধর্নার পাল্টা হিসাবে সিবিআইকে (CBI ) ব্যবহার করছে বিজেপি (BJP)।

তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কর্মসূচি থেকে নজর ঘোরাতেই রবিবাসরীয় সকালে দফায় দফায় কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই এর তল্লাশি অভিযান, এমনটাই দাবি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ সকালে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) এবং কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan Mitra) বাড়িতে পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলছে তল্লাশি। কলকাতার পাশাপাশি উত্তর চব্বিশ পরগনা এবং নদিয়াতেও হানা দিয়েছে সিবিআই। সবটাই আসলে প্রতিহিংসা মূলক রাজনীতি, দাবি তৃণমূলের। এই তল্লাশি প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) লেখেন, অভিষেকের ধর্না হিট, বিজেপির উপর চাপ বাড়ছে, তাই নজর ঘোরাতে রাজনৈতিক পরিকল্পনায় আবার নামানো হল এজেন্সিকে। কিন্তু এভাবে তৃণমূলকে দমানো যাবে না।

রাজ্যের শাসকদল মনে করছে, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজভবনের সামনে ধর্নার পাল্টা হিসাবে সিবিআইকে (CBI ) ব্যবহার করছে বিজেপি (BJP)। আজ অভিষেকের ধর্নার চতুর্থ দিন। যত সময় যাচ্ছে ততই ধর্না মঞ্চের সামনে সাধারণ মানুষের ভিড় বাড়ছে। বিপুল জনসমর্থন এবং অভিষেকের জনপ্রিয়তায় দিল্লির ভিত নড়ে গেছে। এই তল্লাশি অভিযানের মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে তৃণমূলের তরফে একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে লেখা হয়, ‘ক্ষমতায় থাকা মানুষের থেকে মানুষের ক্ষমতা অনেক বেশি। আমরা কারোর কাছে মাথা নত করব না। ‘

ফিরহাদ হাকিম এবং মদন মিত্রের বাড়িতে তল্লাশি প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee) বলেন, “বিজেপির কথায় চলছে সিবিআই- ইডি। সরকার আসে সরকার যায় কিন্তু ইডি সিবিআইকে তো থাকতে হবে। তাই সেক্ষেত্রে তাদের চিন্তা-ভাবনা করে পদক্ষেপ করা উচিত। তাঁরা সরকারি আধিকারিক। বিজেপির কথায় চলা তাঁদের কাজ নয়।” তৃণমূল সাংসদ অভিনেতা দেব এই প্রসঙ্গে বলেন, ” যদি কেউ দোষ করে থাকেন তাহলে তাঁর শাস্তি পাওয়া দরকার । কিন্তু সরকারি থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এভাবে এজেন্সিকে দিয়ে রাজনীতি করানো উচিত নয়। এটা কখনই কোনও ভালো বার্তা দেয় না। যা হচ্ছে সেটা ঠিক হচ্ছে না।”

কলকাতার পাশাপাশি একযোগে ১২ জায়গায় হানা দিয়েছে সিবিআই। উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়ার পাশাপাশি এবার নিউ ব্যারাকপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধানের বাড়িতেও পৌঁছে গেল সিবিআই। টাকির পুরপ্রধানকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে খবর।

Previous articleইজরায়েলে নিখোঁজ অভিনেত্রী নুসরত! ২৪ ঘণ্টা ধরে নায়িকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন 
Next articleছাত্রীদের পোশাক বদলের ছবি তুলে কাঠগড়ায় দিল্লি আইআইটির সাফাই কর্মী!