তরুণীকে খু.ন করে পৈ.শাচিক উল্লাস! হা.মাস জ.ঙ্গিদের তা.ণ্ডবে আ.তঙ্কিত ইজরায়েলে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়ারা

পরিবারের তরফে ওই মহিলার মৃতদেহ নিশ্চিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে মেয়ের দেহ ফিরে পেতে মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন মা।

ইজরায়েল-হামাস (Israel-Hamas) সংঘর্ষের মধ্যেই প্রকাশ্যে এল হাড়হিম করা ভিডিয়ো। এবার পিকআপ ভ্যানের (Pick Up Van) পিছনে হাত পা বাঁধা অবস্থায় ইজরায়েলের রাস্তায় মহিলার নগ্ন মৃতদেহ নিয়ে প্যারেড করল হামাস জঙ্গিরা। আর এমন নির্মম ভিডিও সামনে আসতেই শিউরে উঠেছে তামাম বিশ্ব। তবে জঙ্গি সংগঠন হামাস প্রাথমিকভাবে দাবি করেছিল যে মৃতদেহটি একজন মহিলা ইজরায়েলি সৈন্যের। কিন্তু এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিডিওতে যে মহিলাকে দেখা গিয়েছে তিনি একজন জার্মান নাগরিক এবং একজন ট্যাটু শিল্পী। এদিকে, পরিবারের তরফে ওই মহিলার মৃতদেহ নিশ্চিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে মেয়ের দেহ ফিরে পেতে মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন মা। এদিকে মহিলার খুড়তুতো ভাই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, শনিবার সকালে মহিলাকে অপহরণ করে হামাস জঙ্গিরা।

অন্যদিকে, অপর এক ঘটনায় মা-বাবার সামনেই ১৮ বছরের তরুণীকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। জঙ্গি গোষ্ঠীর সামনে হাঁটু গেঁড়ে মেঝেতে বসে প্রাণ ভিক্ষা চাইলেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উল্টে তরুণীকে মেরে পৈশাচিক উল্লাসে মেতে ওঠে জঙ্গিরা। শনিবার গাজা স্ট্রিপ থেকে ইজরায়েলের উপর সাত হাজার রকেট হামলা চালায় প্যালেস্টাইনের এই জঙ্গি গোষ্ঠী। পাশাপাশি, দেশের দক্ষিণ দিকের একাধিক শহরে ঢুকে পড়ে হামাসের যোদ্ধারা। এরপরই ওই এলাকায় শুরু হয় তাণ্ডব। বাড়িতে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে বহু ইজরায়েলি নাগরিককে হত্যা করে তারা। হামাস জঙ্গিদের এমন গণহত্যার ভিডিয়ো ও ছবি ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তেমনই একটি ভিডিয়োতে এক ইজরায়েলি পরিবারকে হামাস জঙ্গিদের কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইতে দেখা গিয়েছে।

ইজরায়েল প্রশাসন সূত্রে খবর, দেশের দক্ষিণ দিকের একাধিক শহরের বহু বাসিন্দাকে পণবন্দি করেছে হামাস জঙ্গিরা। তাঁদের মুক্ত করতে কমান্ডো অপারেশন শুরু করেছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকার। পাশপাশি, গাজা স্ট্রিপে হামাসের গোপন ঠিকানা লক্ষ্য করে এয়ার স্ট্রাইক চালাচ্ছে ইজরায়েলি বায়ু সেনা। এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫০০ পেরিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কে ভুগছেন সেখানে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়ারা। নার্ভাস হলেও নিয়মিত সেদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ রাখছেন। ইজরায়েলে আটকে থাকা এক ভারতীয় পড়ুয়া সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, আমি অত্যন্ত নার্ভাস ও ভীত। সৌভাগ্যবশত আমরা শেল্টারে রয়েছি। ইজরায়েলের পুলিশও কাছাকাছিই রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত নিরাপদেই রয়েছি। আমরা ভারতীয় দূতাবাসের লোকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছি। এখানে আমাদের ভারতীয় সম্প্রদায় বেশ ভালো। আমরা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। অপর এক ভারতীয় পড়ুয়া জানিয়েছেন, বারবার হামলার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতীয় দূতাবাস আমাদের সকলের সঙ্গেই যোগাযোগ রেখেছে এবং আমাদের অবস্থান খতিয়ে দেখছে।

 

 

 

 

Previous articleএশিয়ান গেমসে নজির, ১০৭ টি পদক নিয়ে চতুর্থ স্থানে শেষ করল ভারত
Next articleবাংলার ক্রিকেটার এবার পুরসভার সাফাই কর্মী!