সিকিমে গিয়ে নিখোঁজ বাংলার শ্রমিক! আবহাওয়ার উন্নতি হতেই শুরু উদ্ধারকাজ

পুজোর আগেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু সেই আশা অধরাই থেকে গেল কোচবিহারের (Coochbehar) রফিকুল হকের। সিকিমের (Sikkim) ভয়াবহ বিপর্যয়ে আপাতত তাঁর সঙ্গে পরিবারের সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। অন্যদিকে, সিকিমে হানিমুনে (Honeymoon) গিয়ে আটকে পড়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার (Bagda) দম্পতি। যত সময় গড়াচ্ছে দুই পরিবারেই বাড়ছে উৎকণ্ঠা। সিকিম যেন রাতারাতি অন্যরকম হয়ে গিয়েছে। সিকিম মানেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে লাচেন, লাচুং। তবে তিস্তার হড়পা বান কার্যত তছনছ করে দিয়েছে উত্তর সিকিমকে। কেউ ঘর হারিয়েছেন, তো কেউ খুইয়েছেন প্রিয়জনকে। আর বিপর্যয়ের সেই আঁচ পৌঁছেছে বাংলাতেও। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য আটকে পড়া পর্যটকদের প্রত্য়ন্ত এলাকা থেকে এতদিন উদ্ধার করা যাচ্ছিল না। তবে সোমবার সকাল থেকে প্রথমবার লাচেন (Lachen) ও লাচুংয়ে (Lachung) আটকে পড়া পর্যটকদের হেলিকপ্টারে উদ্ধার (Rescue) করা শুরু হল।

পুলিশ সূত্রে খবর, সিকিমে কাজে কিংবা ঘুরতে গিয়ে আটকে রয়েছেন বাংলার বহু পর্যটক। তবে কোচবিহারের কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের পানিশালার বাসিন্দা রফিকুল সিকিমের লাচুঙে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাতে শেষবার তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল পরিবারের। তারপর থেকেই কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না তাঁর। এদিকে রবিবারই পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক রফিকুলের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। অন্যদিকে, আশঙ্কা বাড়তে থাকলেও উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার বাইন পরিবারে স্বস্তির হাওয়া। অবশেষে খোঁজ মিলেছে প্রিয়জনের। বাগদার রানিহাটির বাসিন্দা নির্মল বাইন ও অঞ্জনা বাইন সদ্য বিয়ে সেরে সিকিমে হানিমুনে যান। জীবনের এই সেরা মুহূর্তটা যে এভাবে দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে, তা ভাবতে পারেননি কেউই। মঙ্গলবার রাত থেকে পরিবারের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। চারদিন পর, শনিবার শিলিগুড়ির সেনা ক্যাম্প থেকে পরিবারকে ফোন করে জানানো হয়, নিরাপদে আছেন দম্পতি।

মূলত মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং তার জেরে হড়পা বান, দুইয়ের জেরে বাঁধভাঙা বন্যায় ভেসে গিয়েছে সিকিম।  সিকিমে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯।যে তিস্তা বছরভর পর্যটকদের মন ভোলায়, এবার তার ভয়াল রূপ কেড়ে নিয়েছে জীবন। সিকিমের মেঘভাঙা বৃষ্টিতে জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে অনেকের। মূলত সিকিমের মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ফুঁসছে তিস্তা। এর মধ্যেই তিস্তার জলে বাংলায় ভেসে এসেছে একের পর এক দেহ। এদিকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবারই কেন্দ্রীয় টিম গ্যাংটক যেতে পারে বলে খবর। পাশাপাশি তাঁরা সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে গোটা বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করবেন।

 

 

 

Previous articleফের মুখ পু.ড়ল বিজেপির, তৃণমূলের ধর্নামঞ্চ নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি খারিজ
Next articleচিঠি ঘাড়ে রাজভবনে অভিষেক, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রকে জানাব: জানালেন রাজ্যপাল