কামদুনি কাণ্ডে (Kamduni Case)রাজনীতি করতে মাঠে নেমে পড়েছে পদ্মশিবির। যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর (CM)নির্দেশ মতো রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে(Supreme Court) এই নিয়ে মামলা করেছে এবং একদফা শুনানিও হয়েছে, সেখানে দাঁড়িয়ে মৌসুমী-টুম্পাদের আবেগ নিয়ে সস্তার রাজনীতি করার অভিযোগ পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা-সহ নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দিল্লি রওনা বঙ্গ বিজেপির (BJP)। তবে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, নাটক হচ্ছে। নিম্ন আদালত ফাঁসির রায় দিয়েছে। হাইকোর্ট একটু অন্যরকম রায় দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। যাতে প্রকৃত শাস্তি পায়। শাড়ি-ব্লাউজ মাচিং করে ফ্যাশন প্যারেড হচ্ছে। প্রতিবাদের নামে কেউ কেউ কেঁদে ঢলে পড়ে নাটক করছে। তবে কুণাল এদিন সাফ জানান, কামদুনিকাণ্ডকে কেউ সমর্থন করে না। আমরাও ঘটনার তীব্র নিন্দা করি। তবে গদ্দার শুভেন্দু কুমিরের কান্না কাঁদছে। ও যখন তৃণমূলে ছিল তখনকার ঘটনা। ও সাংসদ ছিল। পরে মন্ত্রী হয়েছে। আজও নাটক করে প্রতিবাদ দেখাচ্ছে।

শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High court) ডিভিশন বেঞ্চ আনসার আলি ও সইফুল আলির ফাঁসির সাজা রদ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়।পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চেরই রায়ে আমিন, আমিনুর, ইমানুল ও ভোলানাথ মুক্তি পেতে চলেছে বলে জানা যায়। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেই আবহে কামদুনিতে গিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থতার কারণে নির্যাতিতার পরিবারের আবেগ নিয়ে সস্তার নাটক করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari) বলে অভিযোগ। যেখানে রাজ্য সরকার নিজে বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে সেখানে নতুন করে নির্যাতিতার পরিবারকে উসকে দিয়ে সুপ্রিমকোর্টে মামলা সংক্রান্ত পদক্ষেপে বিজেপির যে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে, তাতে ঘোলা জলে রাজনীতির ছবিটাই স্পষ্ট হচ্ছে।