রানিগঞ্জের কয়লাখনিতে ধস! চু.রি করতে গিয়ে ম.র্মান্তিক পরিণতি ৩ গ্ৰামবাসীর

তৃণমূলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার জানান, এর দায় কিছুতেই এড়াতে পারে না কেন্দ্র। ১০০ দিনের কাজের টাকা সহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রাখা হয়েছে। আর বিজেপি এখন সেসব দিক থেকে নজর ঘোরাতেই মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করছে।

0
1

রানিগঞ্জের (Raniganj) খোলামুখ কয়লাখনিতে (ECL) ধস নেমে বড়সড় দুর্ঘটনা। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে তিন গ্ৰামবাসীর। বুধবার বিকেলে ইসিএল কুনুস্তরিয়া এরিয়ার অন্তর্গত রানিগঞ্জের নারায়ণ কুড়ি খনিতে ধস নামে। তাতেই বেশ কয়েকজন গ্ৰামবাসীর (Villagers) চাপা পড়ার আশঙ্কা দেখা গিয়েছিল। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিএসএস কুলদীপ বৃহস্পতিবার সকালে জানিয়েছেন, ভোর রাতে তিনজনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দেহগুলিকে ময়নাতদন্তের (Post Mortem) জন্য পাঠানো হয়েছে।

বুধবার বিকেলে ইসিএলের কুনুস্তরিয়া এরিয়ার নারায়নকুড়ি খোলামুখ খনিতে হঠাৎই ধস নামে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। খনির দেওয়ালে ফুটো করে কয়লা সংগ্রহ করছিলেন কয়েকজন স্থানীয় গ্রামবাসী। ধসের ফলে তাঁরা চাপা পড়েছে বলে এলাকাবাসীরা জানান। চাপা পড়ে মৃত্যু হওয়ার ঘটনায় আশঙ্কা ছড়ায় গোটা এলাকায়। ঘটনায় তৃণমূলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার (Jayprakash Majumder) জানান, এর দায় কিছুতেই এড়াতে পারে না কেন্দ্র। ১০০ দিনের কাজের টাকা সহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রাখা হয়েছে। আর বিজেপি এখন সেসব দিক থেকে নজর ঘোরাতেই মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করছে।

অন্যদিকে, বুধবার রাতে নারায়নকুটি এলাকায় যান বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul)। তিনি বেশ কয়েকটি পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেন। অগ্নিমিত্রা পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করে দাবি করেন বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী চাপা পড়ে আছে। অবিলম্বে তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার করতে হবে। পাশাপাশি উদ্ধারকার্যের দাবিতে ওই এলাকায় গভীর রাতে আন্দোলনে বসে পড়েন অগ্নিমিত্রা পাল।

এদিকে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পুরো বিষয়টি নিয়ে ইসিএলের কাছে জানতে চেয়েছেন।