মুখেই আচ্ছে দিনের বুলি। কিন্তু আসলে তা আচ্ছে না বুরা, মোদি সরকারের আসল উন্নয়নের ছবি প্রকাশ্যে এল। এবার ভয়ঙ্কর পর্যায়ে পৌঁছল ভারতের ক্ষুধার মাত্রা। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে (Global Hunger Index 2023) ১২৫ দেশের মধ্যে ১১১ নম্বরে জায়গা পেল ভারত (India)। ২০২২ সাল অর্থাৎ গত বছরে ভারত ছিল ১০৭তম স্থানে। বৃহস্পতিবার এই সূচক প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে ভারত পেয়েছে মাত্র ২৮.৭ পয়েন্ট। তবে ভারতের থেকে প্রায় সকল প্রতিবেশি দেশই এই সূচকে আগে জায়গা করে নিয়েছে। অন্যদিকে, চরম আর্থিক দুর্দশায় ধুকতে থাকা পাকিস্তান (Pakistan) ও ১০২ নম্বর স্থানে জায়গা করে নিয়েছে। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka) আছে ৬০তম স্থানে। এছাড়া, বাংলাদেশ আছে ৮১তম স্থানে আর নেপাল আছে ৬৯তম স্থানে।

ক্ষুধা সূচকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে অপুষ্টির হার ১৬.৬ শতাংশ। তবে এই সুচক মানতে নারাজ কেন্দ্রের মোদি সরকার। কেন্দ্রের দাবি, ক্ষুধা পরিমাপের প্রক্রিয়াতেই নাকি ত্রুটি রয়েছে। তবে দেশের এমন ভয়ঙ্কর অবস্থা সামনে আসতেই চব্বিশের নির্বাচনের আগে বেকায়দায় পড়েছে গেরুয়া শিবির। বিরোধীদের অভিযোগ, দেশকে ‘সর্বনাশের’ মুখে ঠেলে দিচ্ছে মোদি সরকার। সাধারণ মানুষের হকের টাকা আটকে রাখা হচ্ছে। সেকারণে দুবেলা খাবার জোগাড় করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে দেশবাসীকে।
তবে বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে দক্ষিণ এশিয়া এবং সাহারার দক্ষিণের আফ্রিকার দেশগুলির থেকে ভাল ফল করেছে। এই দুটি এলাকারই স্কোর ২৭। ক্ষুধা সূচকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে অপুষ্টির হার ১৬.৬ শতাংশ। অনূর্ধ্ব-পাঁচ বছরের শিশুদের মধ্যে মৃত্যুর হার ৩.১ শতাংশ। ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে রক্তাল্পতার প্রবণতা ৫৮.১ শতাংশ। পাশাপাশি সূচক অনুযায়ী, শিশুদের উচ্চতার সঙ্গে ওজনের অনুপাতে বিশ্বের মধ্যে সবথেকে পিছিয়ে আছে ভারত। মাত্র ১৮.৭ শতাংশ। তবে, কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের সাফাই, এই সূচকের ফলাফলগুলি কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। মন্ত্রকের দাবি, এই সূচক তৈরির ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত সমস্যা রয়েছে।
