বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষেধ, চেতলায় দেবীর চক্ষুদান কীভাবে করবেন মুখ্যমন্ত্রী?

শ্রেণি বৈ*ষম্যকে থিম করে চেতলা অগ্রণীর এবারের নিবেদন 'যে যেখানে দাঁড়িয়ে',মণ্ডপসজ্জায় শিল্পী সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর দেবীর চক্ষুদানের পরই দর্শনার্থীদের জন্য মণ্ডপের প্রবেশ দ্বার খুলে দেওয়া হবে।

পায়ের ব্যথায় কাবু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাই ডাক্তারের পরামর্শ মতো আপাতত বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে তাঁকে। কিন্তু তাই বলে কর্তব্যে কোনও গাফিলতি নেই। বৃহস্পতিবার কালীঘাটের বাড়ি থেকে কলকাতার বেশ কয়েকটি পুজো এবং জেলার পুজোগুলির ভার্চুয়াল উদ্বোধন করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। কিন্তু মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) পুজোর অন্যতম বড় আকর্ষণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)স্বয়ং। কারণ প্রতি বছর তিনি নিজে হাতে চেতলার পুজোয় (Chetla Durga Puja 2023) প্রতিমার চোখ আঁকেন। এই বছরে সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হবে কি ? সূত্রের সূত্রের খবর, চেতলা অগ্রণীর (Chetla Agrani) পুজো মণ্ডপে না গিয়েও মুখ্যমন্ত্রী দুর্গামূর্তির চোখ আঁকবেন মুখ্যমন্ত্রী।

রাত পোহালেই মহালয়া (Mahalaya)। পিতৃপক্ষের অবসানে দেবীপক্ষের সূচনা। শাস্ত্রমতে এদিন দেবীর চক্ষুদান করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে চেতলা অগ্রণীর পুজো প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে দেবীর চোখ আঁকেন। এবছর সশরীরে হাজির হতে না পারলেও মাতৃমূর্তির চক্ষুদান করবেন তিনিই। কীভাবে? পুজো কমিটি সূত্রে খবর, এই বিষয়ে প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। প্রতিমার মুখমণ্ডলের ছবি তুলে ক্যানভাসে পাঠানো হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তা দেখে তিনি মাপমতো প্রতিমার চোখ এঁকে পাঠাবেন। তাঁর আঁকা দেখে শিল্পী আসল মূর্তিতে চোখ আঁকবেন। কাজটা খুব একটা সহজ নয় স্বীকার করছেন শিল্পীও। শ্রেণি বৈষম্যকে থিম করে চেতলা অগ্রণীর এবারের নিবেদন ‘যে যেখানে দাঁড়িয়ে’,মণ্ডপসজ্জায় শিল্পী সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর দেবীর চক্ষুদানের পরই দর্শনার্থীদের জন্য মণ্ডপের প্রবেশ দ্বার খুলে দেওয়া হবে।

Previous articleপায়ে শি.কল, কাপড়ে বাধা মুখ!অদ্ভূত রূপে পূজিত হন রঘুনাথগঞ্জের ‘পেটকাটি দুর্গা’
Next articleরাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গ্রেফতারি: ইডির বিরুদ্ধে আদালতে সঞ্জয় সিং