আগামিকালের ম‍্যাচে কড়া নিরাপত্তা, থাকছে বিশেষ ড্রোনের ব‍্যবস্থা

এদিকে এই বড় ম্যাচ আয়োজন নিয়ে গুজরাত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ধনরাজ নাথওয়ানি এক বিবৃতিতে জানান

আগামিকাল বিশ্বকাপের হাইভোল্টেজ ম‍্যাচ। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান। এই ম‍্যাচ ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে। সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামে ম‍্যাচ। এই ম‍্যাচে দর্শকও হবে প্রচুর। আর দর্শকদের নিরাপত্তার জন‍্য বিশেষ ব‍্যবস্থা করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এই ম্যাচের জন্য বিশেষ ড্রোনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আহমেদাবাদের ক্রাইম ব্রাঞ্চের প্রতিনিধি রবীন্দ্র কুমার জানান, এই ড্রোনগুলি ১২০ মিটার উচ্চতায় ১২ ঘন্টা ধরে উড়তে পারবে। এবং স্টেডিয়ামের পার্শ্ববর্তী ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তদারকি করতে পারবে। এই ড্রোনে ফুল এইচডি ক্যামেরা থাকবে।

এদিকে জানা যাচ্ছে, ১৫ হাজার নিরাপত্তা কর্মী ব‍্যবস্থা করা হচ্ছে এই ম‍্যাচকে ঘিরে। পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হবে র‌্যাফ এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের জওয়ানদের। থাকবেন হোমগার্ডেরাও। শুধু স্টেডিয়ামের দায়িত্বে থাকবেন ১১ হাজার পুলিশ কর্মী।

এই নিয়ে আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার বলেন, “গত ২০ বছরে আমদাবাদে কোনও ক্রিকেট ম্যাচকে কেন্দ্র করে হিংসা বা দাঙ্গা হয়নি। তবু শহরের বিভিন্ন সংবেদনশীল এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীদের মোতায়েন করা হবে। সতর্কতা হিসাবে আমরা এই ব্যবস্থা করছি।” এরপর তিনি আরও বলেন,”নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন সাত হাজার পুলিশ কর্মী এবং চার হাজার হোমগার্ড। শহরের তিনটি জায়গায় মোতায়েন রাখা হবে এনএসজি জওয়ানদের। তৈরি থাকবে অ্যান্টি ড্রোন স্কোয়াড। বম্ব স্কোয়াডের ন’টি দলকে তৈরি রাখা হবে। গোটা নিরাপত্তা ব্যবস্থার তদারকি করবেন ইন্সপেক্টর জেনারেল বা ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল পদ মর্যাদার চার জন আইপিএস আধিকারিক। থাকবেন ২১ জন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিক। স্টেট রিজার্ভ পুলিশের ১৩টি কোম্পানি এবং তিন কোম্পানি র‌্যাফ শহরের বিভিন্ন রাস্তায় থাকবে। ক্রিকেটপ্রেমীদের সাহায্য করার পাশাপাশি জওয়ানেরা সর্বক্ষণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর নজর রাখবেন। বিশেষ নজর রাখা হবে শহরের সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে।”

এদিকে এই বড় ম্যাচ আয়োজন নিয়ে গুজরাত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ধনরাজ নাথওয়ানি এক বিবৃতিতে জানান, “আইসিসির দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী এই ম্যাচের জন্য সমস্ত রকম প্রস্তুতি সারা হয়েছে, আর এতে বিসিসিআইয়ের বড় সমর্থন রয়েছে। আমরা খুবই গর্বিত এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আয়োজন করতে পেরে, এর সঙ্গে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ ও ফাইনাল ম্যাচ পাওয়ার জন্য বিসিসিআইয়ের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।”

আরও পড়ুন:শনিবার বিশ্বকাপে ভারত-পাক মহারণ, কী বলছে আবহওয়া?

 

Previous articleকাউন্টডাউন শুরু, মুম্বইতে বসতে চলেছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির বৈঠক
Next articleচিনে ইজরায়েলের কূটনীতিকের উপর প্রাণঘাতী হামলা