পুজোর আগে বস্ত্র বিতরণের নামে ভ.ণ্ডামি! ১০০ দিনের টাকা না পেয়ে ভুক্তভোগীদের ক্ষো.ভের মুখে বিজেপি বিধায়ক

রবিবার দুর্গা পুজো উপলক্ষ্যে শীতলকুচিতে বস্ত্র বিতরণ করতে যান বিজেপি বিধায়ক বরেনচন্দ্র বর্মণ। আর এদিন পুজো উপলক্ষ্যে বস্ত্র বিতরণ করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের চরম বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি বিধায়ক।

১০০ দিনের কাজের প্রাপ্য টাকা মেলেনি। আর পুজোর মুখে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি (BJP)। পুজোর হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। তার আগেই নিজেদের হারানো জমি ফিরে পেতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। রবিবার দুর্গা পুজোকে (Durga Pujo) হাতিয়ার করে বস্ত্র বিতরণের (Distribution of Cloths) নামে ফের বিশৃঙ্খলার চেষ্টা বিজেপির। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, রবিবার দুর্গা পুজো উপলক্ষ্যে শীতলকুচিতে (Sitalkuchi) বস্ত্র বিতরণ করতে যান বিজেপি বিধায়ক বরেনচন্দ্র বর্মণ (Baren Chandra Burman)। আর এদিন পুজো উপলক্ষ্যে বস্ত্র বিতরণ করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের চরম বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি বিধায়ক। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা বিধায়কের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তবে দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় পুলিশ ও বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীদের প্রচেষ্টায় ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে আসেন বরেনচন্দ্র বর্মণ।

গ্রামবাসীদের একটাই দাবি, পুজোর আগে আমাদের টাকা চাই না। আমাদের হকের ১০০ দিনের টাকা ফিরিয়ে দিন। বিজেপি বিধায়ক জানান, হিসাব দিলে তবেই টাকা দেবে কেন্দ্র। এরপরই চরম ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের একটাই দাবি আমাদের টাকা অবিলম্বে ফিরিয়ে দিতে বলুন কেন্দ্রের মোদি সরকারকে। নাহলে আগামীদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। তবে পুজোর মুখে গ্রামবাসীদের এমন বিক্ষোভের জেরে বিজেপির রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার আসল ছবি ফের সামনে এল। উল্লেখ্য, ১০০ দিনের কাজের টাকা সহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে মোদি সরকার। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কেন্দ্রকে লাগাতার অনুরোধ করেও লাভের লাভ হয়নি। এরপর বাধ্য হয়ে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার বঞ্চিত মানুষদের নিয়ে দিল্লির রাজপথে শান্তিপূর্ণ সত্যাগ্রহে বসেন। যা দেখে মোদি সরকারের পায়ের তলার মাটি কেঁপে গেলেও বঙ্গ বিজেপির কিছু নেতাদের কথায় এখনও বাংলার বঞ্চিত মানুষদের প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। আর বাংলার মানুষকে টাকা না দিয়ে পুজোর আগে বস্ত্র বিতরণের নামে বঞ্চিত মানুষদের আবেগ নিয়ে খেলছে বিজেপি। আর সেকারণেই এদিনের বিক্ষোভ। এমনটাই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC)।

তবে এদিন গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে তড়িঘড়ি এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন বিজেপি বিধায়ক। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এদিন বস্ত্র বিতরণ করতে গেলে আচমকাই গ্রামবাসীরা তাঁর উপর চড়াও হয়। তাঁদের একটাই দাবি দ্রুত ১০০ দিনের টাকা মেটাতে হবে তাঁদের।

 

 

 

 

Previous articleরাজধানীতে ভূমি.কম্প, ইংল্যান্ড-আফগানিস্তান ম্যাচের মাঝেই কেঁপে উঠল মাঠ
Next articleঅ.গ্নিবীরের মৃ.ত্যুতে ভ্যানিশ ‘গার্ড অফ অনার’! দে.হ ফিরল বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সে