রেশন বণ্টনে আরও স্বচ্ছতা আনার উদ্যোগ, সব গ্রাহকের E-KYC-র নির্দেশ

রেশন বণ্টন ব্যবস্থায় আরও স্বচ্ছতা আনতে উদ্যোগ। রাজ্যের সব রেশন গ্রাহকের E-KYC প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পূর্ণ করার উপর জোর দিচ্ছে। রাজ্যের খাদ্য দফতরকে এবিষয়ে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে প্রায় ৮ কোটি ৮৫ লক্ষ সক্রিয় রেশন গ্রাহক রয়েছেন। এর মধ্যে দু কোটির কাছাকাছি গ্রাহকের এখনও ই-কেওয়াইসি সম্পূর্ণ হয়নি। আধার তথ্য আপডেট না-থাকা বা শারীরিক অসুবিধার কারণে তাঁদের ই-কেওয়াইসি সম্পূর্ণ করা যায়নি। রেশন গ্রাহকদের বাড়িতে গিয়ে ডিলারদের মাধ্যমে এই সব গ্রাহকদের ই-কেওয়াইসি করার জন্য নবন্নের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নবান্ন সূত্রের খবর, গ্রাহকদের একটা বড় অংশকে আধার নম্বর দেওয়া হলেও তাঁদের ই-কেওয়াইসি সম্পূর্ণ হয়নি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখন রেশনে খাদ্য বণ্টনের ক্ষেত্রে ৯৯ শতাংশের বেশি লেনদেন আধারের বায়োমেট্রিক যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই হচ্ছে। পরিবারের একজন সদস্যের E-KYC করা থাকলেও তিনি বাকি সদস্যদের জন্য বরাদ্দ খাদ্য সংগ্রহ করতে পারেন। পরিবারের কোনও সদস্যের E-KYC করা না থাকলেও এটা সম্ভব। কিন্তু পরিবারের সকল সদস্যেরই ই-কেওয়াইসি করে নিতে চাইছে সরকার। কোনও পরিবারের যেসব সদস্যের ই-কেওয়াইসি হয়নি, পোর্টালে তাঁদের নাম নীল রঙে চিহ্নিত করা আছে। খাদ্য দফতরের স্থানীয় অফিসগুলি থেকে রেশন ডিলারদের বলা হয়েছে, যেসব পরিবারের সকলের ই-কেওয়াইসি হয়নি, তাঁদের কেউ খাদ্য সংগ্রহ করতে এলে বকেয়া কাজটি দ্রুত সেরে নিতে বলতে হবে।

পরিবারের সব সদস্যের ই-কেওয়াসি করা থাকলে সেই পরিবারটিরই সুবিধা হবে সেকথা প্রচার করতে বলা হয়েছে। কারণ পরিবারের ই-কেওয়াইসি সম্পন্ন করা একমাত্র সদস্য কোনও কারণে অনুপস্থিত থাকলে পুরো পরিবারই রেশন থেকে বঞ্চিত হতে পারে। সকলের ই-কেওয়াইসি করা থাকলে এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব।

আরও পড়ুন: সমাজমাধ্যমে অ.শ্লীল পোস্ট লাইক করেন? কী বলছে আদালত

সব রেশন গ্রাহকের ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য খাদ্য দফতর দু’বছর ধরে বারবার নির্দেশ দিয়েছে। প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে প্রথম দিকে এজেন্সি নিয়োগ করে বাড়ি বাড়িও যাওয়া হয়। এলাকাভিত্তিক বিশেষ শিবির খোলা হয়েছিল একাধিক দফায়। রেশন ডিলারদের মাধ্যমে দোকানে ও বাড়িতে গিয়ে ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। এজন্য অতিরিক্ত কমিশন দেওয়া হয় ডিলারদের। খাদ্য দফতরের অফিস এবং বিএসকেগুলিতেও এটা করা যায়। তা সত্ত্বেও বহু সংখ্যক গ্রাহকের ই-কেওয়াসি বাকি কেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে।

Previous articleবাড়তি সময় নয়, মহুয়াকে ২ নভেম্বর হাজিরার নির্দেশ এথিক্স কমিটির
Next articleগাজায় শান্তি ফেরানোর আর্জি! যু.দ্ধবিরোধী বি.ক্ষোভে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ নিউ ইয়র্কের গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল