নজরে নিরাপত্তা! জগদ্ধাত্রীপুজো নিয়ে চন্দননগরে বিশেষ বৈঠক মন্ত্রী ইন্দ্রনীলের

বৈঠকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুতের খরচ কমছে জগদ্বাত্রীপুজোয়। শুধু তাই নয়, বিসর্জনের সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রবণতাও কমবে। সম্প্রতি জগদ্ধাত্রীপুজো নিয়ে এমনই খুশির খবর শুনিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর।

দুর্গাপুজোর (Durga Pujo) মধ্যে দিয়েই এবার উৎসবের মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যে। ইতিমধ্যে, উৎসবের মেজাজে রাজ্যবাসী। আগামী ১৯ নভেম্বর জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagaddhatri Pujo)। আর সেই উপলক্ষ্যেই এবার সাজোসাজো রব চন্দননগরে (Chandannagar)। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। এবার জগদ্ধাত্রীপুজো যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায় সেই লক্ষ্যেই বুধবার চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে রবীন্দ্রভবনে (Rabindra Bhawan) এক সমন্বয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এদিনের বৈঠকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুতের খরচ (Electricity Cost) কমছে জগদ্বাত্রীপুজোয়। শুধু তাই নয়, বিসর্জনের সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রবণতাও কমবে। সম্প্রতি জগদ্ধাত্রীপুজো নিয়ে এমনই খুশির খবর শুনিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর।

মূলত এদিনের বৈঠকে পুজো কমিটিগুলি কীভাবে অনলাইনে আবেদন করবে তা বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হয়। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন, চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অমিত প্রসাদ জাভালগী, চন্দননগর পুর নিগমের মেয়র রাম চক্রবর্তী সহ পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। এছাড়াও চলতি বছরের জগদ্ধাত্রীপুজোর মণ্ডপগুলিতে কী কী ব্যবস্থা থাকতেই হবে, সেই সম্পর্কেও কমিটির উদ্যোক্তাদের অবগত করা হয়। চলতি বছর চন্দননগরের ভদ্রেশ্বর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রীপুজো কমিটির অধীনে মোট ১৭৭ টি পূজো হচ্ছে। এর বাইরেও বেশ কিছু পুজো রয়েছে। আর সেকারণেই আশা করা হচ্ছে প্রতিবছরের মতো এবছরও চন্দননগরে পাঁচ দিন হাজার হাজার মানুষের ঢল নামবে‌। তবে দর্শনার্থীদের যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয় এদিনেরে বৈঠকে সেই বিষয়টিতেই জোর দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, চন্দননগরে দিনে বিসর্জন ও রাতে শোভাযাত্রার জন্য বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার সময়ও কমানো হচ্ছে এবার। একটা সময় ছিল দশমী ও একাদশীর দিন গোটা চন্দননগর কার্যত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকত। কিন্তু চলতি বছরে শোভাযাত্রার রুটে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হবে না বলে খবর। যেসব প্রতিমা দিনে বিসর্জন হয় সেগুলিকে বের করে গাড়িতে তোলার সময় আগে আড়াই থেকে তিন ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হত। এবার প্রতিমা বের করার সময় শুধুমাত্র বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হবে। পরে প্রতিমা বেরিয়ে গেলেই ফের লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ করা হবে। ফলে আগের থেকে অনেক কম সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকবে।

Previous articleরাজ্যকে ৬০০ কোটি টাকা অনুমোদন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের
Next articleবাংলাদেশের পাশে ভারত: এদেশের সহযোগিতায় তৈরি ৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের যৌথ উদ্বোধন মোদি-হাসিনার