Saturday, November 15, 2025

আসানসোল কম্বল কা.ণ্ডের উদাহরণ টেনে বাঁকুড়ায় শুভেন্দুর সভায় ‘না’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

Date:

সকালে যা বলেছিলেন, বিকালে ঠিক তার বিপরীত মত প্রকাশ করলেন। বুধবার দুপুরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, আধ ঘণ্টার মধ্যে বাঁকুড়ায় সভা করার অনুমতি না দিলে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপারকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজির হতে হবে।আর তাতেই ঘটে যাওয়া আসানসোল কম্বল কাণ্ডের কথা শোনার পর মত বদল করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, বাঁকুড়ার কোতুলপুরে বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীর অনুমতি দেওয়া যাবে না। আগামী ৪ নভেম্বরের আগে সভা করতে পারবে না বিজেপি।

ওই মামলার শুনানিতে বিকেলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, পুলিশ সুপার বলছেন, সভার ময়দানটি অনেকটা বড়। সেখানে একটি মাত্র প্রবেশ এবং বাহিরের পথ রয়েছে। এই অবস্থায় পদপিষ্টের ঘটনা হলে আদালতের তো কিছু করার থাকবে না। জালিয়ানওয়ালাবাগের মতো ঘটনা হলে দায় কে নেবে? আসলে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপারের বক্তব্য শোনার পরেই মত বদলান বিচারপতি।

কোতুলপুরে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান করতে চেয়ে পুলিশের অনুমতি চায় বিজেপি। সেখানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মঞ্চ বাঁধার কাজ শেষ হয়ে গেলেও পুলিশের অনুমতি না মেলায় হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় গেরুয়া শিবির। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, সভা করার অনুমতি চেয়ে বিজেপির আবেদনে ত্রুটি রয়েছে। গত ২৮ অক্টোবর ইমেল মারফত অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। আদালতের কাছে ওই পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য নয়। গত ৩০ অক্টোবর লিখিত ভাবে অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু এত অল্প সময়ের মধ্যে আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়নি। তাই শেষ মুহূর্তে আদালতেরও কিছু করার নেই।

বিজেপির আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আপনারা কয়েক দিন পরে কর্মসূচি করুন। পুলিশকে চার দিন সময় দিচ্ছি। এই সময়ের মধ্যে তারা সভার অনুমতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তার পরেই সভা করা যাবে।যদিও বিজেপির আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, সভার জন্য সবাই তৈরি। আদালতের অনুমতি মিললেই সভা শুরু হবে। সবাই চলে এসেছেন সভাস্থলে। তিনি যুক্তিতে বলেন, তা ছাড়া এটা কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। বিজয়া সম্মিলনীর সভা। অনুমতি দেওয়া হোক। যা নিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, আমি বুঝি এটা রাজনৈতিক সভা নয়। কিন্তু কোনও অঘটন ঘটলে তার দায় কে নেবে? এ ভাবে অনুমতি দেওয়া যায় না।

বিজেপির আইনজীবী এরপরও বলেন, অনেক বড় মাঠ। ওই মাঠে ২৫-৩০ হাজার লোক ধরবে। আর এই সভায় খুব বেশি হলে ৫ হাজার জমায়েত হয়েছে। প্রবেশ এবং বাহিরের আলাদা আলাদা পথ রয়েছে। এই সংখ্যক লোকে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কোনও ঘটনা ঘটলে মামলকারী তার সম্পূর্ণ দায় নেবে। পুলিশের সাহায্য দরকার নেই। অতিথিদের কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা রয়েছে।তবুও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সাফ বলেন, আসানসোলে কম্বল বিতরণ কর্মসূচিতে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। শিশুসুলভ আচরণ করবেন না। পুলিশের গ্রিন সিগন্যাল ছাড়া অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।

 

Related articles

রবীন্দ্র সরোবরের ছয় ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি: সম্পূর্ণ আইনি পথে কর্পোরেশন

প্রায় পাঁচ দশক পর রাবীন্দ্র সরোবর চত্বরে অবস্থিত ছ’টি ক্লাবের সঙ্গে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক ভাড়ার চুক্তি করল কলকাতা...

বিহারে কমিশনের কারচুপি, তোপ অখিলেশের: ঘুরিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ ওমরের

বিহারে এসআইআর প্রয়োগ করে ভোটারদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেস-আরজেডির (RJD) মহাজোটের এটাই ছিল বিহার নির্বাচনের মূল...

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কে: ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট JD(U)-এর!

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ২৪৩ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৮৯ আসনে জয়ী। নীতীশ কুমারের জেডিইউ জিতেছে ৮৫ টি আসন।...

জাদুসম্রাটের বাড়িতে বিয়ের আসর! বিজ্ঞাপন দেখে পাত্র পছন্দ মৌবনীর

জিনা বন্দ্যোপাধ্যায় জনে জনে বার্তা রুটি গেল ক্রমে, বিয়ে করছেন মৌবনী শীতের মরশুমে! মেয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন পিসি সরকার, সেখান থেকেই পাত্র...
Exit mobile version